
শেষ
বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে কাতালান শিবিরে উচ্ছ্বাস। লা লিগার শেষ দিনে
অ্যাথলেতিক বিলবাওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শুধু মৌসুমের পর্দা নামায়নি
বার্সেলোনা, বরং তারা আবারও প্রমাণ করেছে শিরোপা শুধু অর্জনের নয়,
সম্মানেরও। এই ম্যাচটিকে শুধুই একটি জয় বললে ভুল হবে। এটি ছিল এক প্রতীকী
উপলক্ষ। যেখানে পুরনো অভিজাত ক্লাবের ভবিষ্যতের বার্তা ছিল, ‘আমরাই সেরা।’
ম্যাচের
১৪ মিনিটেই প্রথম চমক। বক্সে পা রেখে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে চিপে পরাস্ত
করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। এরপর রাফিনহার কর্নার থেকে হেড করে ব্যবধান
দ্বিগুণ করেন তিনি। এই জোড়া গোলেই বার্সা ক্যারিয়ারে নিজের গোলসংখ্যা
১০০-তে পৌঁছে দেন ৩৬ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার। লা লিগার এই মৌসুমে তার
গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ২৭, এমবাপ্পের (৩১) পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ম্যাচের
একদম শেষ দিকে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দানি ওলমো করেন
দলের তৃতীয় গোল। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তার নামটি স্কোরবোর্ডে ওঠায় স্পষ্ট
ইঙ্গিত পাওয়া যায় বার্সার বেঞ্চও ধারালো।
লা লিগার শিরোপা তো বটেই, এবার
কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপও ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। ঘরোয়া ফুটবলে
‘ট্রেবল’ জয় মানে শুধু ট্রফি নয়, তা ক্লাবের পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা ও
মানসিক শক্তির প্রমাণ।
ম্যাচ শেষে লেভানডোভস্কির কণ্ঠে ছিল তৃপ্তি,
কিন্তু চ্যালেঞ্জের চেতনাও, “এই মৌসুমে আমরা দারুণ কিছু করেছি। কিন্তু
জানি, আরও বেশি কিছু দেওয়ার আছে আমাদের।”
এক নজরে মৌসুম শেষে পয়েন্ট
তালিকা: বার্সেলোনা: ৮৮ পয়েন্ট, রিয়াল মাদ্রিদ: ৮৪ পয়েন্ট, অ্যাটলেটিকো
মাদ্রিদ: ৭৬ পয়েন্ট, অ্যাথলেটিক বিলবাও: ৭০ পয়েন্ট (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরল
১১ বছর পর)।