বেসরকারি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, ম্যানেজিং কমিটি কিংবা গভর্নিং বডির নানা
আবেদন-অভিযোগ ‘সরাসরি’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ার কারণে দৈনন্দিন কাজ
ব্যাহত হওয়ার কথা বলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
মন্ত্রণালয় বলছে, এভাবে জমা দেওয়া আবেদন-অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিগত সুযোগ নেই।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন ও অভিযোগ জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বলেও দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড
মোরশেদ আলী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও বেসরকারি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সদস্যরা ব্যক্তিগত অভিযোগসহ
বিভিন্ন আবেদন সরাসরি মন্ত্রণালয়ে জমা দিচ্ছেন। কিন্তু এ ধরনের আবেদন ও
অভিযোগ দাখিলের যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে।
“সরাসরি এ ধরনের আবেদন
মন্ত্রণালয়ে জমা হলে তা ডকেটভুক্ত হয়, কিন্তু সেগুলো নিষ্পত্তি করা যায় না।
ফলে প্রতিদিন অনিষ্পন্ন আবেদন-অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছেই। যেগুলো দৈনন্দিন
কাজ ব্যাহত করছে।”
এমপিওভুক্তির আবেদনের উদাহারণ টেনে এ কর্মকর্তা বলেন,
“শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর আবেদন অনলাইনে দাখিল করতে হয়, সেগুলো মাঠ
পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করেন এবং পরে এমপিও কমিটির
অনুমোদনের পর এমপিওভুক্ত হন।
“মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
এমপিওভুক্তির কাজ না করলেও অনেকে এমপিওভুক্ত হতে সরাসরি বিভাগে আবেদন জমা
দেন, যেগুলো নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না। তাই সরাসরি মন্ত্রণালয়ে জমা না
দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন-অভিযোগগুলো পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের
নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।”