জুলাই
অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার বংশালে শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ (মোস্তাকীন)
হত্যা মামলায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা
বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জাহাংগীর আলমের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি এ তথ্য দিয়েছে।
দুই
দিনের রিমান্ড শেষে এদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)
পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত।
জাহাংগীর আলমের আইনজীবী বলেছেন, তিনি জামিনের আবেদন করেননি।
১৪ মে সাবেক এই সচিবের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
মামলার
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ (মোস্তাকীন)
মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ওইদিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক
সার্জারীর ইনস্টিটিউট এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে
গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ গুলিবিদ্ধ হন। তাকে
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থেকে জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
২০২২
সালের ২৭ অক্টোবর জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে
ইসি সচিবালয়ের সচিব করা হয় তাকে। পরে তাকে জননিরাপত্তা বিভাগে ফেরানো হয়।
গত
১৪ অগাস্ট সচিব জাহাংগীরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।