কুমিল্লার
তিতাস উপজেলার শিবপুর- লালপুর ভায়া শাহপুর সড়কটি দীর্ঘদিনেও কোন সংস্কার
কাজ না করায় যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই সড়কে
যাতায়াতে ১২টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
৪কি.মি.
দীর্ঘ সড়কের ২ কি.মি. অংশে প্রচুর খানাখন্দ,ব্যাপক ভূমিধ্বস এবং
ভাংগাচোরায় বেহাল দশা। শিবপুর অংশে ভূমিধ্বসে সড়ক এতটাই সরু হয়ে গেছে যে,
পাশাপাশি ২টি যানবাহন অতিক্রম করতে পারছে না।
গৌরীপুর-হোমনা সড়কের
গৌরীপুর বাজারে এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে প্রায়শই বিশাল যানজটের
সৃষ্টি হচ্ছে। তখন ঢাকা ও কুমিল্লাগামী যাত্রীরা এই সড়ক ব্যবহার করে
হাসানপুর ও শহীদনগর হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে উঠে। ভুক্তভোগী
এলাকাবাসী জানায়, গৌরীপুর-হোমনা আঞ্চলিক মহাসড়কের তিতাস উপজেলার
শিবপুর-শাহপুর-লালপুর ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি সর্বশেষ ৬/৭ বছর আগে
নিম্নমানের সংস্কার কাজ করা হয়েছিল বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ফলে কিছুদিন
যেতেই সড়কের শাহপুর করিমখালি সেতু থেকে শিবপুর পর্যন্ত ২কি.মি. স্থানে
প্রচুর গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। শিবপুর অংশে অপরিকল্পিতভাবে
মাত্রাতিরিক্ত গভীর খাল খননের কারণে সড়কের অর্ধেকাংশ ধ্বসে সরু হয়ে গেছে।
এতে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসাইন সরকার বাবু জানান, ছাত্র-ছাত্রী ও
অভিভাবকদের লালপুর হাইস্কুলে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক পথ। সড়কের
বেহাল অবস্থার কারণে যাতায়াতে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা
যথাসময়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে পারছে না।
খানাখন্দে ভরা ও ভূমিধ্বসে
সড়কের দৈন্যদশার কারণে লালপুর, শিবপুর, শাহপুর,মৌটুপী,শোলাকান্দি,চর
মাহমুদ্দী, নুরপুর,হাসানপুর,দৌলতপুরসহ ১২টি গ্রামের কৃষক,
ব্যবসায়ী,দিনমজুর, স্কুল কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ নানা শ্রেণিপেশার হাজার
হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত মেরামতের
দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালিত অটোরিকশা
চালক আবু বক্কর বলেন,শিবপুর- লালপুর সড়কটি বেহাল দশা,এই সড়ক দিয়ে গাড়ী
চালাতে পারিনা,যদি কোনো রকম একবার যাই তাহে সেদিনই গাড়ীর কাজ করাতে হয়।এতে
আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়। তাহার দাবি জনসার্থে দ্রুত সড়কটিকে মেরামত করার।
এলাকাবাসীর
অভিযোগ, সর্বশেষ সড়ক সংস্কারের সময় অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী
ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদারকে অনুরোধ করেও কোন কাজ হয়নি। এর ফলে খুব অল্প
সময়ের মধ্যে সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাকা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। অবিলম্বে
সড়কটি মেরামত করার জন্য সুশীল সমাজের মুরব্বিগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে দাবি করেছেন।
এলজিইডির তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন,
এই সড়কের ভাংগাচোরা,খানাখন্দ ও ভূমি ধ্বসের বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি।
জনদূর্ভোগ দূর করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে সড়কের শাহপুর করিমখালি
ব্রীজ থেকে শিবপুর পর্যন্ত ২ কি.মি. স্থান মেরামত করা হবে।