ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর
কাঁচা বাজারগুলোয় মুরগি মিলছে মোটামুটি আগের সপ্তাহের দরেই। তবে ব্রয়লার
মুরগির দাম কেজিতে আরও ১০ টাকা কমেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ২৭০ টাকা কেজি দরে সোনালি মুরগি কিনছিলেন চাকরিজীবী মানসুরা আক্তার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে মুরগীর দাম কিছুটা কম রয়েছে।
“এই দাম আরেকটু কমলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালো হয় বলে আমি মনে করি।”
এদিন
কারওরান বাজার, মোহাম্মদপুরের টাউন হল, সাত মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা
যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে, যা গেল সপ্তায় ছিল ১৮০
টাকা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে মুরগির দাম কম রয়েছে। এসময়ে ব্রয়লারের
দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা; আর সোনালির কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
দাবদাহের কারণে মুরগির দাম কমেছে বলে মনে করেন মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচাবাজারের দোকানি আক্তার উদ্দিন।
তিনি বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম কম রয়েছে। মুরগির দাম কোনো সময় বাড়ে, আবার কমেও যায়।”
দেশি
মুরগি আগের সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা থেকে ৬৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
আগের সপ্তাহেও একই দাম ছিল। লেয়ার মুরগিও আগের মতোই ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে।
আর ডিমের ডজন আগের মতোই চড়া রয়েছে; ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
গ্রীষ্মকালীন
সবজির মধ্যে করলা, পটল, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৮০ টাকা
কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।
এছাড়া কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, কচুরমুখি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, সজনে ১১০ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে
কাঁচামরিচের দাম আবার বেড়েছে; বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। যদিও আগের
সপ্তাহে এই নিত্যপণ্যটি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
কোথাও
কোথাও এখনো শীতকালীন সবজি মিলছে; তবে দাম বেশ চড়া। শিমের দাম ২০ থেকে ৩০
টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, প্রতিটি ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০
টাকায়, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা কলা বিক্রি
হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর চাল কুমড়া আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া
৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৫০ টাকায়, গাজর ৫০
টাকায়, মুলা ৬০ টাকায় এবং শসা মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে মিলছে।
লেবুর দাম আগের চেয়ে কমেছে। বাজারে লেবুর হালি ২০ টাকা, ধনেপাতা ১৮০ টাকা কেজি, কাঁচা আম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে
লাল শাক গেল সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৫ টাকা আঁটি হয়েছে; আগের সপ্তাহে
ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর লাউ শাক আগের সপ্তাহের মতোই ৪০ থেকে ৫০ টাকা,
পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ডাঁটা শাক
১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বতুয়ার শাক ২০ টাকা আঁটি, ঢেঁকি শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কিছু দোকানে নাপা শাকের আঁটি মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
বাজারে
আলু-পেঁয়াজসহ মসলাজাত পণ্যের দাম আগের সপ্তাহের থেকে কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ
করে আদা ও রসুনের দাম। পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতো ৬০ টাকাই রয়েছে। তবে এসব
পণ্য একসাথে বেশি পরিমাণে কিনলে বিক্রেতারা মোট অংক থেকে ১০-১৫ টাকা কমিয়ে
রাখেন।
গত সপ্তাহের মতই দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ (বড় আকারের) ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আদা
মানভেদে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ভারতীয় রসুন
২৫০- ২৮০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল (মোটা দানা) ১২০
টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১২৫ থেকে
১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।