আরচ্যারির
এশিয়ার সবচেয়ে বড় আসর এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ তৃতীয়
বারের মতো এই টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়েছে। আগামী ৭-১৫ নভেম্বর এই
টুর্নামেন্টের সময়সূচি। আজ আরচ্যারি ফেডারেশনের নতুন কমিটির প্রথম সভার
আলোচনায় এশিয়ান আরচ্যারি আয়োজন নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে।
নতুন কমিটির
নির্বাহী সদস্য ও ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ
চপলকে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির (এলওসি) চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে।
অ্যাডহক কমিটি হওয়ার পর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বড় কোনো দায়িত্ব পাওয়ার ঘটনা
এটাই প্রথম।
রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাডহক
কমিটিতে প্রথমে সাধারণ সম্পাদকই করেছিল। পরবর্তীতে সার্চ কমিটির আহ্ববায়ক
জোবায়েদুর রহমান রানার পদত্যাগের হুমকিতে সাধারণ সম্পাদক থেকে বদলে
নির্বাহী সদস্য করা হয়। এরপর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে কানাঘুষা ছিল চপল
আরচ্যারিতে সক্রিয় থাকবেন কি না, আবার নতুন কমিটি চপলের অভিজ্ঞতা-দক্ষতার
মূল্যায়ন করবে কি না।
প্রথম সভার পর আজ অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়েছে। চপল
তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'আরচ্যারি আমার একটা সন্তান। আমার দ্বিতীয় পরিবার।
নতুন পুরনো মিলে আরচ্যারিকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালিত করব। সভাপতির
নির্দেশনায় এশিয়ার সকল দেশকে বাংলাদেশে এনে সুন্দর এশিয়ান আরচ্যারি আয়োজন
হবে।'
আরচ্যারি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমান।
তিনি আরচ্যারি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চপল সম্পর্কে বলেন, 'সে
আরচ্যারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আমরা অবশ্যই তাকে জাতীয়-আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে যেখানে প্রয়োজন তাকে ফোকাস করা হবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানের
সংগঠক।'
আরচ্যারি ফেডারশেনের নতুন সভাপতি আরচ্যারিকে দেশের শীর্ষ তিন
খেলার মধ্যে একটি আখ্যায়িত করে বলেন, 'যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ
ফেডারেশনগুলোর মধ্যে আরচ্যারি অবস্থান উপরে। সেরা তিনটির মধ্যে একটি।' ২০২০
ও ২০২৪ অলিম্পিকে টানা দুই বার আরচ্যারি সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা
অর্জন করেছে। সম্প্রতি দুই অলিম্পিয়ান আরচ্যার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী
খেলা ছেড়ে প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। স্বল্প আয় ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য
আরচ্যারি বিমুখতাও তৈরি হচ্ছে। এজন্য ফেডারেশন খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা
বাড়াতে চায়, 'আমরা জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। খেলোয়াড়,
কোচদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়াব। আমাদের ফেডারেশনে অর্থ রয়েছে। আমরা সেটা
সঠিকভাবে ম্যানেজম্যান্ট করব। আমাদের কমিটিতে নারী রয়েছে। আমরা চাই নারী
খেলোয়াড়ও বাড়াতে।'
আরচ্যারি অলিম্পিক পর্যায়ে খেললেও রেজিস্ট্রার
আরচ্যার সংখ্যা তিন শতাধিকের বেশি নয়। ফেডারেশনের নতুন কমিটি আরচ্যার
সংখ্যাও বাড়াতে চায়। সভাপতি বলেন, 'আমরা আরচ্যারিকে আরো ছড়িয়ে দিতে চাই।
যাতে আরচ্যার সংখ্যা আরো বেশি বাড়ে।' ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর
আহমেদ বলেন, 'আজ আমাদের প্রথম সভায় পুরনো সদস্যরাও এসেছিলেন।'