![কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/05/13/CK_1715542113.jpg)
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামাল উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতাকে
হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদ- ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই
সঙ্গে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার
আদেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১২ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়
ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি ছাড়া দ-প্রাপ্ত বাকি ১৭ জন
অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রায়ে পাঁচজনকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
হত্যাকা-ের
শিকার জামাল উদ্দিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি
ছিলেন। বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে
হত্যা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী ও জেলা জজ আদালতের পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম।
মামলায়
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের
সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ
বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন
প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল
উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান
খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
মামলা
থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল
আজিম উদ্দিন আনোয়ার হোসেন সোহেল আতিকুর রহমান নান্টু, ও ইউসুফ হারুন মামুন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। ওই সময় স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায়
যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের উপর
হামলা করে তাকে আহত করা হয় । এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে
মামলা করেন। ওই মামলার কিছুদিন পর ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি যুবলীগ নেতা
জামালকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়া এলাকায় চেয়ারম্যান মোঃ
ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্যান্যরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ
ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা
করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন,
মামলায় ২০ জনের স্বাক্ষ গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের মৃত্যুদ-,
৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- এবং পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। রায়
ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুইজন খালাসপাপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
বাকিরা পলাতক আছেন।