কুবি
সংবাদদাতা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হল থেকে এক
ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল ‘চুরির’ অভিযোগ উঠেছিল আরেক ছাত্রলীগ নেতার
বিরুদ্ধে। সেই 'চুরির' বিষয়টি মোটরসাইকেলের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা
হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উভয়পক্ষ। বুধবার (৩ এপ্রিল) মুঠোফোনে তারা বিষয়টি
নিশ্চিত করেন।
মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করা ছাত্রলীগ নেতা হলেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নূর উদ্দীন
হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর সিসিটিভি ফুটেজের জন্য আবেদন
করেন। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনি বাইক 'চুরির' সময় নিশ্চিত হন।
সেই ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ কাজী নজরুল ইসলাম হল
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জিলান আল সাদ এহসান ও
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান সিদ্দিকীকে একটি
মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে নিতে যেতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মোটরসাইকেলের
মালিক দাবি করা নূর উদ্দীন হোসাইন বলেন, ' তারা বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ
করেছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের পরিবর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তারা। তবে
টাকার স্পেসিফিক এমাউন্টটা আমি বলতে চাচ্ছি না।'
এ ব্যাপারে চুরির ঘটনায়
অভিযুক্ত রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ বলেন, ' আমরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি।
মোটরসাইকেলের পরিবর্তে টাকা প্রদান করা হয়েছে।
চুরির ঘটনায় আরেক
অভিযুক্ত বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জিলান আল সাদ এহসান বলেন,
'আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা আমার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
করে ফেলেছি। সর্বশেষ রিয়াদ বাইক নিয়েছিল এরপর তার কাছ থেকে হারানো গেছে তাই
সে নূর উদ্দীনকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'এটা হলের বিষয়। হল প্রসাশনই বিষয়টা দেখবে।'
এ ব্যাপারে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এর
আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নূর উদ্দীন হোসাইন বাইক 'চুরির'
ঘটনায় ফুটেজ সংগ্রহকরণ ও অপরাধী সনাক্তকরণ প্রসঙ্গে আবেদন করেন। পরবর্তীতে
হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল 'চুরির' সময় বের করেন নূর উদ্দীন।
সিসিটিভি ফুটেজের পরও 'চুরির' বিষয়টি অস্বীকার করেন রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ,
জিলান আল সাদ এহসান, আরমান সিদ্দিকী। পরবর্তীতে হল সংলগ্ন মেসের একটি ফুটেজ
আসে প্রতিবেদকের কাছে। সেখানে তাদের মোটরসাইকেল ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা
যায়।