তিতাস
প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাসে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় মানিক (৩২) নামে এক
দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে নিহত মানিকের বাবা মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে
চারজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ মানিক
হত্যাকা-ের মূলহোতা বাহাউদ্দিনকে উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দোকানি মানিককে খুন করেন বাহাউদ্দিন ও জালাল
উদ্দীন নামে ধূমপায়ী দুই সহোদর। উপজেলা কানাইনগর গ্রামের ভুঁইয়াবাড়িতে এ
ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক ওই গ্রামের মো. মোখলেস ভুঁইয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি
দাস জানান, মানিক হত্যাকা-ের ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে
চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ইতোমধ্যে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত
মূলহোতা বাহাউদ্দিনকে আমরা জগতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে
তিনি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের
গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত মানিকের স্ত্রী তাসলিমা
আক্তার বলেন, প্রতিবেশী ভুঁইয়াবাড়ির নায়েব আলীর ছেলে বাহাউদ্দীন আমার
স্বামীর কাছে সিগারেট বাকি চান। কিন্তু দোকানে সিগারেট না থাকায়, আমার
স্বামী বলেন সিগারেট নাই। এতে বাহাউদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে
বাকবিত-ার একপর্যায়ে হাতাহাতি করে ঘরে চলে যান। তারপর বাহাউদ্দীন ঘর থেকে
তাঁর বাবার সামনেই দা হাতে, তাঁর আপন ভাই জালাল উদ্দীনকে সঙ্গে করে নিয়ে
এসে আমার স্বামীকে কোপাতে এলে প্রতিবেশীদের বাধার মুখে তাঁরা দুই ভাই আবারও
ঘরে গিয়ে ছুরি নিয়ে আসেন। এরপর আমাদের বাড়ির অন্যদিক দিয়ে ঘুরে এসে দোকানে
ঢুকে আমার স্বামীকে জাবড়ে ধরে আর তার ভাই বাহাউদ্দীন গলায় ছুরি মেরে হত্যা
করে। এর আগেও তারা বাকি নিয়ে অনেক টাকা জমিয়েছে, আর সেই টাকা চাইতে গেলে
কয়েকবার আমার স্বামীকে মারধর করেছে।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় মানিককে
উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মানিক মারা যান।