১৪
ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ৭১’এর এই দিনে পাকিস্তানী হানাদারা বাহিনী
ও তাদের দোসররা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এই দিনে নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখক,
সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতি কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন
হতে যাওয়া বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করে দেওয়া। প্রতি বছর এই দিনে গভীর শোক ও
শ্রদ্ধার সাথে জাতি তাই বাংলার এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে। দিবসটি
উপলক্ষ্যে ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লায় প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও ৮-১৬
ডিসেম্বর ৯ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে ১৪ ডিসেম্বর যথাযোগ্য
মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ভোর ৬টায় কলেজ পতাকা মঞ্চে
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ১১:০০
টায় কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যাথলজী বিভাগের অনারারী
অধ্যাপক ও সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ রুহিনী কুমার দাস। বুদ্ধিজীবী দিবসের
তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বক্তব্য রাখেন
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লিঃ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ
জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, এনেসথেসিওলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এস.এম.
তৌহিদুর রহমান প্রমুখ। শোক র্যালীতে অংশ করেন কলেজ ও হাসপাতালের সকল
শিক্ষক, চিকিৎসক, ইন্টার্ন ডাক্তার, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও
কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পরবর্তীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী সহ মুক্তিযুদ্ধে
অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের জন্য বাদ জোহর কলেজ মসজিদে
মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
