চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিয়ে করা হলো না রেমিটেন্সযোদ্ধা
ফাহেদুল ইসলামের(৩৬)। ওমানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল
করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। তিনি উপজেলার বাতিসা
ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মিজানুর রহমান ও পারুল বেগম
দম্পত্তির প্রথম ছেলে। শুক্রবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের মামা
জামাল হোসেন মজুমদার।
জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ফাহেদুল ইসলাম ২০১৩
সালে ওমানে যান। সেখানে একটি কোম্পানীতে কাজ করেন। ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই
দেশে ছুটিতে এসে ৩০ জুলাই আবার ওমান চলে যান। এরপর গত ৯ বছর আর ছুটিতে দেশে
আসেননি। এবার ওমান থেকে ছুটিতে আসলে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত ছিল পরিবারের।
কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না ফাহেদুল ইসলামের। গত ১৫ অক্টোবর বুধবার রাতে
তিনি ওমানে নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। খবর
পেয়ে পুলিশ গিয়ে অসুস্থ্য ফাহেদুল ইসলামকে উদ্ধার শেষে স্থানীয় লিওয়া
এক্সটেন্ডেড হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত
চিকিৎসক সংগীতা প্রিয়াদর্শনী ফাহেদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
রেমিটেন্সযোদ্ধা ফাহেদুল ইসলাম মিজানুর রহমান ও পারুল বেগম দম্পত্তির ৩
ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বাবা
মিজানুর রহমান ও মা পারুল বেগমসহ স্বজনদের কান্না থামছে না। তারা ছেলের লাশ
দেশে ফেরত আনতে ওমানের মাসকাটস্থ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সরকারের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা
করেছেন।
নিহতের মামা জামাল হোসেন মজুমদার বলেন, ভাগিনা ফাহেদুল ইসলাম
এবার ছুটিতে দেশে আসার কথা ছিল। তাকে বিয়ে করানোর পরিকল্পনা ছিল পরিবারের।
কিন্তু হঠাৎ ভাগিনা ওমানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করায় সব
আশা শেষ হয়ে যায়। ফাহেদুল ইসলামের লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা
করছি।