নিজস্ব
প্রতিবেদক: একটি জাতি উন্নতি করার মূল চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। যা একটি দেশকে
উন্নত শিখরে পৌছে দেওয়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির
অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে না। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের বাংলাদেশ।
গতকাল
শনিবার (১২ জুলাই) টাটেরা প্রফেসর সেকান্দর আলী ভূঁইয়া গার্লস হাই স্কুল
এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ বার
কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
সিনিয়র এড. ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে এ
কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এদেশকে এগিয়ে
নেওয়া সম্ভব। যারা শিক্ষার্থী আছো তাদের উচিত লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিকতা
অর্জন করা। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে এদেশ থেকে দুর্নীতি ও অপরাধ
কর্মকাণ্ড দূর হবে। তাই শিক্ষার্থীর এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে, আজকের
বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়া। অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট
মিতা ইয়াসমিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা
জজ এবং প্রফেসর শেকান্দর আলী ভূঁইয়া গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা এ,এস,এ,মাহফুজ। সঞ্চালনা করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র
শিক্ষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, উপজেলা
বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত করিম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের
সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউসুফ বাবুল, চান্দলা করিম বক্স স্কুল এন্ড কলেজের
অধ্যক্ষ রাখাল চন্দ্রশীল,জিরুইন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ
আলী আক্কাস ভূঁইয়া, গোপালনগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক তাজুল
ইসলাম ভূঁইয়া, মহালক্ষীপাড়া শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিন, সিদলাই বড়বাড়ী গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের
অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম সরকার, বড়ধুশিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার
মোহাম্মদ আবুল কালাম, নাইঘর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ ফয়জুল্লাহ
সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীগণ।
অনুষ্ঠান শেষে
প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রফেসর সেকান্দর আলী
ভূঁইয়া গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে ১০ লক্ষ টাকা
প্রদান করেন। এছাড়া বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্টে
বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন।