চলতি
বছরে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল
বাংলাদেশ। সেই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কেউই। ফলে
বাধ্য বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন বিটিভিতে খেলা সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের সম্প্রচার
স্বত্ব বিক্রি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে সেই শঙ্কা দূর হয়ে গেছে। এই
সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে। কিন্তু কত টাকায় বিক্রি হয়েছে সে
বিষয়ে বিস্তারিত এখনই জানাতে চায় না বিসিবি।
আজ শনিবার গণমাধ্যমের
মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, 'টিভি স্বত্বের
বিষয়টা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হবে। শুরুতে আমরা নির্ধারিত অর্থটা
পাইনি। তখন এটা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে একদম নির্ধারিত অর্থের
সমান সমান-ই পাওয়া গেছে।'
'বিভিন্ন কোম্পানি নিয়েছে (টিভি স্বত্ব)।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং বৃটেনের চারটা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া
হয়েছে। সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এবার
জোন ভাগ করে দিয়েছিলাম সর্বোচ্চ অর্থটা পাওয়ার জন্য।'-যোগ করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে
দেয়া ৪ কোটিতেই টিভি স্বত্ব বিক্রি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মিঠু
বলেন, 'প্রায় আমাদের নির্ধারিত অর্থের কাছাকাছিই (পাওয়া গেছে)। কিন্তু
বিডিং হয়েছিল অনেক কম। বিডিং যেহেতু নির্ধারিত অর্থের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছিল
না। ওই কারণে যারা আগ্রহ দেখিয়েছিল তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নানা
প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে।'
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচ প্রচারে
সম্প্রচারকারী চ্যানেলগুলোর হুট করে এমন অনাগ্রহ তৈরির কারণ নিয়ে মিঠু
বলেন, 'অবশ্যই এটা (পারফরম্যান্স) অন্যতম কারণ হতে পারে। এটা তো বলা যায় না
কেন আগ্রহ কম। তব এমনিই বর্তমানে একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে (পুরো
দেশ)। ফুটবল ভালো করছে, অনেকে বলছে আইকন আছে (প্রবাসী নতুন
ফুটবলাররা)...সবকিছুই। পুরো দৃশ্যপট মিলিয়েই এই অবস্থা হয়েছে।'
'আরেকটা
বিষয় হচ্ছে, আমরা সবসময় লম্বা সময় নিয়ে কাজ করি। আমাদের দোষ স্বীকার করে
নিতেই হবে যে আমরা পাকিস্তানের কাজ শুরু করতে একটু দেরি করেছি। জিম্বাবুয়ের
সময় একই অবস্থা ছিল। এখন যে প্রক্রিয়াতে যাচ্ছি, টেন্ডার হয়ে গেছে
(পাকিস্তান সিরিজের)। আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে আমরা লম্বা সময় দিয়ে দিব। তখন
আর এই সমস্যাটা হবে না।'