এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং পরিদর্শকদেরকে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত পরীক্ষার্থী তাদেরকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা স্থানে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার চান্দিনা উপজেলায় চান্দিনা রেদওয়ান আহমেদ কলেজ কেন্দ্রে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো হয়েছে আলাদা একটি ক্লাস রুমে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল হক জানান, করোনা আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আলাদা পরিদর্শকও রয়েছে। আমরা আক্রান্ত পরীক্ষার্থীকে সবার পরে কেন্দ্রে প্রবেশ করাচ্ছি এবং সবার পরে কেন্দ্র থেকে বের করব।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ছয় জেলা- কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেণী, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী।৪৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য- ১৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রের ভিতরে ও বাহিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়সার। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক শাখা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বলেন, কেন্দ্রের নিরাপত্তা, অনিয়ম প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে চলতে প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর আছে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ এইচএসসিতে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজারেরো বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেননি ২৫ হাজার ৪৪০ জন। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছ।
নকলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থী ছাড়াও কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়ক ও পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামসুল ইসলাম। গত এসএসসি পরীক্ষার অভিজ্ঞতার পর্যালোচনায় এই এইচএসসি পরীক্ষায় নকল প্রতিরোধে শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়কদের প্রতি আগে থেকেই কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নকলের মত অনিয়ম রোধে এবার কুমিল্লা বোর্ডে বাদ দেয়া হয়েছে নিজস্ব 'ভেনু সেন্টারও'।