ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বিজয়নগর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে রেলওয়ের পুকুরের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের
বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। রোববার (২২ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার
দিকে পাহাড়পুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। সংঘর্ষে
পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজনের হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে
গেছে।
পুলিশ জানায়, রেলওয়ের জমিতে থাকা একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে
স্থানীয় ইছাম উদ্দিন ও ইদ্রিস মোল্লার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ
চলছিল। ইছাম উদ্দিন সম্প্রতি রেলওয়ে থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়ে দখলে নেন। তবে
ইদ্রিস মোল্লার দাবি- পুকুরটি তার পৈতৃক সম্পত্তি। জমি নিয়ে এই দীর্ঘদিনের
বিরোধই রোববার ভয়াবহ রূপ নেয়।
সংঘর্ষে আহত হন আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও তার
বাবা ইছাম উদ্দিন (৬৫)। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। অপরদিকে ইদ্রিস মোল্লা (৬৫), তার ছেলে মেহেদী হাসান মোল্লা (৩৬)
এবং আত্মীয় হুমায়ুন মিয়া (৭৫) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ঢাকার জাতীয়
অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইদ্রিস
মোল্লার বাম হাতের কব্জি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তার ছেলে মেহেদীর ডান
হাত মারাত্মক জখম হয় এবং হুমায়ুন মিয়ার বাম হাতের তিনটি আঙুল কেটে যায়।
আউলিয়া
বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন, রেলওয়ের জমি
ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আজকের সংঘর্ষ সেই বিরোধেরই
ভয়ানক পরিণতি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
তিনি আরও জানান, গত এপ্রিলেও পুকুরটি ভরাট করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ইছাম উদ্দিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।