দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এ ভাইরাস সংক্রমণে ১১ জনের মৃত্যু হল।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনই নারী।
তাদের একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং আরেকজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের
মধ্যে। তাদের একজন চট্টগ্রাম এবং অপরজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। একজন
সরকারি হাসপাতালে এবং বাকিজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১১টি নমুনা
পরীক্ষা করে নতুন চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী,
শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
শনাক্ত চারজন রোগীই ঢাকা ঢাকা বিভাগের;
১২০টি নমুনা পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। অন্য
বিভাগগুলোতে ৯০টি নমুনা পরীক্ষায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশে ২০২০ সালে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর দেশে শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার
৬৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের
মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১০ জনের।
কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম
বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০
হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। পরের তিন বছর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন,
২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।
ভারতসহ পাশের
কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য
দেশে ভাইরাসের এই ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতাও জারি করেছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি
প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে
বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও
নজরদারি বাড়াতে বলেছে।