কুমিল্লার
লাকসামে ছেলে বন্ধুকে খুঁজতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ
ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার পর লাকসাম থানা-পুলিশ সোমবার দিবাগত
রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগী তরুণী জেলার
মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসাম উপজেলায় একটি কারখানায় চাকরি
করেন।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো. সাগর
(২৬), পৌর এলাকার পেয়ারাপুর এলাকার এনায়েতুর রহমান সাক্কু (১৯), কিশোরগঞ্জ
জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চর-কাউনা গ্রামের স্বপন মিয়া (২১)। আজ দুপুরে
তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে রিফাত নামের এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর
পরিচয় হয়। গত ৮ জুন ওই তরুণী রিফাতকে খুঁজতে লাকসাম বাজারে আসেন। এ সময় তার
সঙ্গে এনায়েতুর রহমান সাক্কু নামে এক অটোরিকশাচালকের পরিচয় হয়। সাক্কু ওই
তরুণীকে নিয়ে লাকসাম শহরে খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতকে না পেয়ে রাত ১০টার দিকে
লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের সিঁড়িতে গিয়ে বসেন। এ সময় রেল স্টেশনে
আসামিরা উত্ত্যক্ত করলে সাক্কু ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দেন। পরে আসামিরা
তাদের ৯ জুন ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত রেল স্টেশনে বসিয়ে রাখে। পরে সাক্কু
আসামিদের সঙ্গে মিলে তরুণীকে রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে
ধর্ষণ করে।
রাতে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, এ ঘটনায়
ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। চার আসামির মধ্যে
তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দিকে আজ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।