মানসিক
প্রতিবন্ধীর জমি না দেয়ায় আবুল কাসেম (৬০)নিজ ঘরে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা
দিয়ে আবুল হোসেন নামে এক সৌদি প্রবাসীকে জেল খাটানোয় এবং হয়রানি করার
অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে অব্যাহতি পেতে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী সঠিক তদন্ত করার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী আবুল হোসেন ও তার
পরিবার। ১৫ জুন দুপুরে ওই ভুক্তভোগী প্রবাসী আবুল হোসেন পরিবার তার নিজ
বাড়ীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার পরিবারের উপর ঘটে যাওয়া মিথ্যা বানোয়াট
হয়রানিমূলক মামলর বিবরণ তুলে ধরেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ আবুল হোসেন
(৪৫) বলেন, আমার বাবা মৃত আব্দুল মালেক, আমরা ৪ ভাই ও ৪ বোনকে বাড়িতে ৩৬
শতক জায়গা দিয়ে যায়। আমরা ৩ ভাই বাড়িতে ৯ শতক করে জায়গায় ঘর উঠাই। আমাদের
সবার ছোট ভাই বশির আহমেদ (৩৮) মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভবঘুরে। আমার বড় ভাই
আবুল কাশেমের নজর পড়ে আমার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই বশির আহমেদের ৯ শতক জমির
উপর। বশির আহমেদের ৯ শতক জায়গার মধ্যে অর্ধেক জায়গা বড় ভাই কাশেম দখল করে
নিয়েছে। বাকি জায়গাও দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি বড় ভাই আবুল
কাশেমকে বাধা দিলে তিনি আমাকে প্রায়ই গালি গালাজ ও মামলা দেয়ার হুমকি
ধামকি আসতো।আবুল কাসেম কে মানসিক প্রতিবন্ধী বশির আহমেদ এর জমি ওনাকে দিতে
অস্বীকার করলে তিনি আমার প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমাকে দেখে নেয়ার
হুমকি দেয়।
গত ১৫ এপ্রিল রাত ১টায় শুনতে পাই আবুল কাশেমের পরিত্যক্ত ঘরে
আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমরা সবাই গিয়ে আগুন নিভাই। পরবর্তীতে শুনতে পারি
আমি ও আমার ছোট বোনের জামাই একই এলাকার আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ
রিপন আমার বড় ভাই আবুল কাশেমের ঘরে আগুন লাগিয়েছি এ মর্মে বুড়িচং থানায়
মামলা দায়ের করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে কারাগারে
প্রেরণ করে।
প্রবাসী আবুল হোসেন আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করা সাক্ষীগণ কামাল মিয়া, মোঃ সোহাগ ও মোঃ মামুন আদালতে গিয়ে আমরা আবুল
কাশেমের ঘরে আগুন দেই নাই, এ মর্মে আদালতে হলফনামা দেন। অপর সাক্ষী মোঃ
আবুল হাসেম মিথ্যা মামলার বিষয়ে আবুল কাশেমকে জিজ্ঞেস করায় তার বিরুদ্ধেও
বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করে আবুল কাশেম।
তিনি আরও বলেন, বড় বোন
সালেহা বেগম আদালতে গিয়ে হলফনামা দেন। তিনি হলফনামায় বলেন, আমার বড় ভাই
আবুল কাশেম ঘরে আগুন লাগার কিছুদিন পূর্বে ৩ টি গরু ও ৩টি ছাগল (আগুন লাগা
ঘরে থাকতো) আমার বাড়িতে নিয়ে রেখে আসেন এবং ২টি গরু বিক্রি করে দেন। তাছাড়া
একটি গরু ও একটি ছাগল মামলা দায়েরর পরে লোক মারফত নিয়ে আসেন।
আমি
জামিনে বেরিয়ে আসার পর বড় ভাই আবুল কাশেম বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে জানান,
আমার সম্পদের কিছু অংশ লিখে দিলে তিনি আমার বিরোদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে
নিবেন। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই এবং আমার
বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলার প্রতিকার চাই এবং এর সুষ্ঠু
বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামলার তিনজন সাক্ষী কামাল মিয়া,
মোঃ সোহাগ ও মোঃ মামুন, ৩ বোন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।