ক্রেতাবিক্রেতার
হাঁকডাক আর দর কষাকষিতে জমে উঠেছে গরু, ছাগলের হাট। উৎসবমুখর পরিবেশে
কোরবানির জন্য পছন্দের পশু ক্রয় করছেন মানুষ। সব মিলে ঈদের আমেজ যেন হাটেই
নেমে এসেছে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে কুমিল্লার চৌয়ারা বাজারে। তবে দাম নিয়ে
আছে ক্রেতাবিক্রেতা মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে ঈদুল আযহার আর
মাত্র ৩দিন বাকী। এরইমধ্যে একটু মুনাফার আশায় হাটে হাটে ছুটাছুটি করছেন
খামারি, বেপারী ও প্রান্তিক কৃষক। তবে বাজারে কমেছে বড় আকারের গরুর দাম,
উঠানামার মধ্যে রয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর দাম। তারপরও হাতাশা নেই
বিক্রেতাদের মধ্যে। তাদের ধারণা সামনের বাজারে আরও ভালো দাম পাবেন।
অন্যদিকে
সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় কোরবানির পশু দাম কম, সেই আশা থেকে পছন্দের
পশু কিনতে আসছেন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। গরু কিনতে পেরে
খুশি তারা।
কুমিল্লায় এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৪০৯টি পশুর হাট
রয়েছে। গরু, ছাগল বেচাকেনায় সেগুলোও জমে উঠেছে। এসব হাটে সকাল থেকে রাত
পর্যন্ত চলছে গরু-ছাগল কেনাবেচার উৎসব। মানুষের ভিড়, দর কষাকষি আর
বিক্রেতাদের হাঁকডাক সব মিলে ঈদের আমেজ যেন হাটেই আগে থেকে নেমে এসেছে। তবে
হাটের তারকা দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরু। এসব গরু দেখতে যেমন আকর্ষণীয়,
তেমনি দামেও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা
বাজার ঘরে দেখা যায়, মূলবাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে
পড়ে পশুর হাটটি। পাশের সোনাইছড়ি খালের উপর নির্মিত ব্রিজ এবং দুইপাশের মাঠও
ভরাট হয়ে যায় বিভিন্ন ধরণের পশুতে। হাটজুড়ে আধিপত্য দেখা যায় মাঝারি ও ছোট
সাইজের গরুর। তবে পিছিয়ে ছিল না বড় সাইজের গরুর সরবরাহও। আশপাশের খামারি,
ব্যক্তিগতভাবে লালনপালন করা কৃষকদের গরু ছাড়াও চৌয়ারা বাজারে এদিন বিভিন্ন
দূরদূরান্ত থেকেও বেপারি গরু নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার এ বাজারে ক্রেতারও ছিল
উপচে পড়া ভিড়। কম দামে পশু কেনার আশায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও
এসেছেন ক্রেতা। বিক্রিও হয়ে অন্যান্য বাজারের তুলনায় বেশি।
পুরান ঢাকা
থেকে কোরবানির গরু কিনতে একদল ক্রেতা আসেন চৌয়ারা বাজারে। ছোট ও মাঝারি
সাইজের সর্বমোট ৫টি গরু ক্রয় করেন। তারা জানান, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন কুমিল্লায় গরুর দাম কম। সীমান্তবর্তী
জেলা কুমিল্লায় তাই তারা ছুটে আসেন গরু কিনতে। ৫টি গরু কিনেছেন। প্রতিটি
গরুর দাম ছিলো ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। যাতায়াত ভাড়া দিলেও
তারা কম দামে গরু কিনতে পেরে খুশি তারা।
গরু বেচাকেনা নিয়ে হাটে কথা হয়
বেশকয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, হাটে গরু ও ছাগলের সরবরাহ ভালো।
বর্তমান বাজারে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর দাম ঠিকঠাক থাকলেও বড় গরুর
বাজারমূল্য থেকে কম বলছে ক্রেতারা। তবে তাদের প্রত্যাশা বাকী দুইদিনের
মধ্যে বড় গরুও বিক্রি শুরু হবে।