স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের
অন্যতম প্রাচীন কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে পকেটমার,ছিনতাইকারীদের
দৌরাত্বে সাধারন যাত্রীরা দিশেহারা। প্রায় প্রতিদিনই নগদ অর্থসহ মুল্যবান
মালামাল হারাচ্ছে যাত্রীরা। প্রমানের অপেক্ষা বা অভিযোগকারী না থাকায়
রেলওয়ে পুলিশও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
দেশের যোগাযোগ
ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম রেলওয়ে। জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম
রেলপথের অনেকটা মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও
দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছার লক্ষ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী
বিভিন্ন গন্তব্যে পথে চলাচল করে এই স্টেশন দিয়ে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৪ টি
ঢাকা,চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, ময়মনসিংহগামী আন্তঃনগর,এক্সপ্রেস ও মেইল
ট্রেন কুমিল্লা স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। আর যাত্রীদের ভীড়ের সুযোগ নিয়ে
পকেটমার,ছিনতাইকারী চক্র সাধারন যাত্রীদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা,মোবাইল
ফোনসহ মুল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। কখনো টের পেলেও ট্রেন ছেড়ে দেওয়া বা
হয়রানী ইত্যাদি কারণে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে আসে না। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক সুত্র জানায়, কুমিল্লা স্টেশনে ৮-১০ জনের নারী-পুরুষ দু’ধরনের
পকেটমার তৎপর রয়েছে। রয়েছে স্টেশনে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইকারীদের
উপদ্রুব। ধর্মপুর রেলগেইট থেকে শাসনগাছা রেলগেইট পর্যন্ত প্রায় এক
কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রেলওয়ে এই সীমানা স্টেশনের বাইরে একেবারেই অরক্ষিত।
এছাড়াও রেলওয়ে প্লাটফর্ম অরক্ষিত থাকায় বহিরাগতরা অবাধে মোটরসাইকেল নিয়ে
প্লাটফর্মের উপর চলাচল করে। কখনো স্টেশনে ট্রেনে যাত্রী উঠা-নামা করার সময়ও
মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। এসময়যাত্রীদের চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনী বা রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা বাধা দিলে তাদের
সাথে প্রকাশ্যে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত ১ জুন ২০২৫ইং তারিখ দুপুরে
রেলওয়ে পুলিশ ২ নারী পকেটমার আটক করলেও প্রয়োজনীয় তথ্যাদিও অভাবে ছেড়ে দিতে
বাধ্য হয়। এঅবস্থায় কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মের সিসি ক্যামেরাগুলো
প্রতিনিয়ত মনিটরিংসহ সন্দেহভাজন চলাচলকারীদের নিয়ন্ত্রণে রেলওয়ে পুলিশ ও
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আরো তৎপর হওয়ার দাবী সাধারন যাত্রীদের।এই বিষয়ে
জানতে চাইলে কুমিল্লা রেলওয়ের পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি মোঃ সোহেল মেল্লা বলেন,
সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে কোন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতিকারীকে এই পর্যন্ত সনাক্ত
করা হয় নাই, সরজমিনে কিছু পকেট মাইর ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং সেগুলোকে
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে চালান করা হয়েছে । তিনি আরো বলেন আমার
কাছে সিসিটিভির পুনরায় দেখার কোন ব্যবস্হা নাই। এই দিকে কুমিল্লা রেলওয়ে
নিরাপত্তা বাহিনীর এসআই মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমার অফিসে সিসিটিভি
ক্যামেরার ফুটেজ দেখার যে মনিটর আছে সেটা দীর্ঘদিন যাবত অচল হয়ে আছে, এই
বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।