কুমিল্লা
নগরীর টমছমব্রীজ এলাকা থেকে রিভলবার ও বুলেটসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টমছমব্রীজ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে
তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীবল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা খোকন মিয়ার
পুত্র খাইরুল হাসান (৩০), কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের
বাহরুপা গ্রামের জসীমউদ্দীনের পুত্র রাকিবুল হাসান রিয়াদ (২৮), এবং
চাঁদপুরের মতলব উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার পুত্র
সোহাগ মোল্লা (৩৫)।
পুলিশ বলছে, অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া এই তিনজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ৭০ টি মামলা রয়েছে।
এ
বিষয়ে বুধবার (৪ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের
সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমেদ খান।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বমোট ৭০ টি মামলা রয়েছে।
এরমধ্যে খায়রুল হাসানের বিরুদ্ধে ৪০ টি, রাকিবুল হাসান রিয়াদ এর বিরুদ্ধে
১৬ টি এবং সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৪ টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ
সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানুষের
যাত্রায়াত নির্বিঘ্ন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ বিভিন্ন
স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে বিভিন্ন যানবাহনে সন্দেহজনক
যাত্রীদের তল্লাশী চলাকালে মঙ্গলবার রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড
পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ খাজু মিয়া কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডগামী
একটি সিএনজিতে তল্লাশি পরিচালনা করে। এসময় সিএনজিতে থাকা যুবক পুলিশি
তৎপরতা বুঝতে পেরে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য
পুলিশ সদস্যরা ওই তিন সন্ত্রাসীকে ঘিরে ফেলে এবং আটক করে। পরে তাদের কাছ
থেকে একটি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ আরো জানান, আসামীদের মধ্যে মোঃ রাকিবুল হাসান
রিয়াদ এবং সোহাগ মোল্লা গতকালই (মঙ্গলবার) আমিনে মুক্তি লাভ করে এবং মোঃ
খাইরুল হাসান গত একমাস আগে জামিনে মুক্তি লাভ করে।
আসামীদের প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক আসামিদের সাথে ধস্তাধস্তি চলাকালে পলাতক সিএনজি
চালকের সহযোগিতায় তারা পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের নগদ অর্থ
ছিনিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।