লিবারেল
ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন,
বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায়
বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমি বলবো, তার
বক্তব্য সঠিক নয়। বাংলাদেশে একটি দল নয়, কমপক্ষে ২০টি নিবন্ধিত দলসহ প্রায়
সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এলডিপিসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ
আন্দোলনে শরীক সব দল চায়, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। ডিসেম্বরের মধ্যে
নির্বাচন দিতে হবে। এ নিয়ে টালবাহানার কোনও সুযোগ নেই।
শুক্রবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রেদোয়ান
আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। আমরা অন্য কোনও কথা
শুনতে চাই না, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। অন্তর্র্বতী
সরকারের প্রধান কাজ ছিল দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থামিয়ে যত দ্রুত সম্ভব
জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। ছাত্র-জনতার
আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এই সরকার সেই
পথে না হেঁটে ক্ষমতায় থাকার রাস্তা পাকাপোক্ত করার চেষ্টায় ব্যস্ত।
তিনি
জানতে চেয়ে বলেন, ৯ মাসে সরকার কী সংস্কার করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬৬৬
কোটি টাকা সুদ মওকুফ। ৪ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ ফোনের মওকুফ। স্টার লিংকে
গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের অংশীদার। এটিকে কী আমরা সংস্কার বলবো।
রেদোয়ান
আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র
সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে এর
বিকল্প নেই। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। ৩১
দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা বিগত স্বৈরাচার আমলে রাজপথে থাকা সব গণতন্ত্রকামী
রাজনৈতিক দলের। ৩১ দফা এই সরকার বাস্তবায়ন করলে আর কোনও সংস্কারের প্রয়োজন
হবে না।
এলডিপির মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের দাবি এখন
একটাই। সেটি হলো, দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। এত লড়াই-সংগ্রাম,
মামলা-হামলা ও গুম-খুন সব কিন্তু নির্বাচনের জন্যই। নির্বাচন নিয়ে
অন্তর্র্বতী সরকারের আর কোনও টালবাহানা চলবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই
নির্বাচন দিতে হবে, এটাই শেষ কথা।