কুমিল্লার
দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থী আবু বকরকে
পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় এজহারভুক্ত আসামী উপজেল যুবমহিলা লীগের সহ
সভাপতি মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেফতার করেছে দেবিদ্বার
থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ইয়াসমিন আক্তার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতরা গ্রামের
মো. খোরশেদ আলমের মেয়ে এবং ওই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা
ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলার পরিষদ
মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
উপজেলা
পরিষদের একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শী জানায়, ইউপি সদস্য ইয়াসমিন আক্তার মামলায়
গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় বোরকা পড়ে উপজেলা পরিষদ, ইউএনও অফিস ও এলজিআরডিই
অফিসে নিয়মিত যাতায়ত করতেন এবং বিভিন্ন কাজের তদবীর করতেন। মঙ্গলবারও
উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে তাকে।
জানা
গেছে, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেবিদ্বার এসএ সরকারি
কলেজ রোডে এসএসসি পরীক্ষার্থী আবু বকরকে পিটিয়ে ও রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত
করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস আবু বকর কুমিল্লা
নগরীর একটি ট্রমা সেন্টার ও রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স
ও হাসপাতালের আইসিইউ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। এই ঘটনায় আবু বকরের বাবা
মো. আবুল খায়ের গত ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে সাবেক এমপি মো. আবুল
কালাম আজাদ ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৭৩জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা
চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইয়াসমিন আক্তার এজহারভুক্ত আসামী।