ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কুমিল্লা ও ফেনী সীমান্ত দিয়ে ৫২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি । বুধবার মধ্য রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদের পুশইন করা হয়। এর মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও ১৮ জন শিশু।
এর মধ্যে ভারতীয় সীমান্তের কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে মোট ১৩ জনকে পুশ ইন করা হয়। তারা সবাই কুড়িগ্রাম ও টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা ও তিনটি পরিবারের সদস্য। ১৩ জনের মধ্যে শিশু ৭ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিজিবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির টহলদল ৫২ জনকে আটক করেছে। ৪, ১০ এবং ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটা হল দল তাদেরকে আটক করে। জানা গেছে, জাহিদের পরিবার ৬ বছর আগে, মাহবুবের পরিবার ১১ বছর আগে, শাহজালালের পরিবার ১২ বছর আগে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। তারা হরিয়ানার শনিপথ এলাকায় একটি ইট ভাটায় কাজ করতো। গত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তাদেরকে আটক করে বিমানে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে কুমিল্লা ও ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬০ বিজিবি আওতাধীন গোলাবাড়ি এলাকা দিয়ে ১৩ জন, ১০ বিজিবির ফেণীর নোয়া পাড়া ১৫ জন এবং ৪ বিজিবি ফোণীর সীমান্ত দিয়ে ২৪ জন পুশইন করা হয়েছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, কুমিল্লা দিয়ে যে তিন পরিবারের ১৩ জনকে পুশইন করা হয়েছে তাদেরকে আপাতত বিজিবি তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলায় রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা কুড়িগ্রাম ও টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। তবে তাদের সকল নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই চলছে। পরবর্তীতে তাদেরকে তাদের ঠিকানা অনুযায়ী পাঠানো হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, বিএসএফ তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। বর্তমানে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে। তবে আটক হওয়ারা বাংলাদেশি। তারা বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছেন এবং যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে যাদের কে পুশইন করা হয়েছে তারা হলেন- মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩৭), পিতা-মৃত আলী হোসেন, তার পরিবারের সদস্য মোসাঃ মরিয়ম বেগম (৩৭), মোসাঃ জবা (০৯)। মোঃ মাহাবুর রহমান (৩০), পিতা-আহাম্মদ আলী, তার পরিবারের সদস্য হালিমা খাতুন (২৫), মারুফা (০৬), আলিফ (০১)। মোঃ শাহজালাল (৩৫), পিতা-মোঃ জোহর আলী, তার পরিবারের সদস্য মাহমুদা (৩০), স্বামী-মোঃ শাহজালাল, মামুন (১৪), মুনসুর (০৮), মোমিনুল (০৩), শাহনাজ (০৬)।