রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায়
মরক্কো ও কাফকো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে
মোট ব্যয় হবে ৪৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন
আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির
বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে,
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার
আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা
পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে,
বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানি
করে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির
শর্তগুলো অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা
হয়।
চুক্তিতে উল্লিখিত করা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য
নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার
মূল্যে ২ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২৪ কোটি ৫২ লাখ টাকায়
আমদানির প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
উপস্থান করা হলে কমিটিতে তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতি টন ডিএপি সারের দাম
নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৫ ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি
সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার টন। এ পর্যন্ত
আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টন।
এদিকে বৈঠকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার
কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড
গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া
সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি সই হয়। এরই আলোকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড
গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে
কাফকো প্রাইস অফার পাঠায়।
কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য
নির্ধারণ করে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন
৪১৭.২৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ ডলার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ২০২৪-২৫
অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ টন। তার মধ্যে কাফকো থেকে
ক্রয় করা হবে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন।