কুমিল্লায় মাদক ব্যবসা ও সেবনের প্রতিবাদ করায় সাইদুল (১৫) নামে এক কিশোরকে (৩২) হাত পা বেঁধে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরের বাবা।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।পরে ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হোসেন দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের সৈয়দ জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। বুধবার (১৪ মে)বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলারধামতি ইউনিয়নের বাবুর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পরদিন এ ঘটনায় ওই কিশোরের বাবা দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ওই সাইদুল নামে এক কিশোরকে মারধরকারী কিশোরটি পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও জিন্স পেন্ট ছিল। এক ব্যক্তি মোটা রশি দিয়ে তার হাত পা বেধে রাখে অপর এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে অনবরত পিটিয়ে যাচ্ছিলেন কিশোরটিকে। এ ঘটনা অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কেউবা ভিডিও করছিলেন। ওই সময়ে মারধরকারীর হাত থেকে ওই কিশোরকে বাঁচাতেকাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
ওই কিশোরেরবাবা মোবারক মিয়া বলেন,গত১৪ মে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর, নজু, তাজুসহ আরও কয়েকজনকে মাদক ব্যবসা ও সেবন করতে দেখে প্রতিবাদ করায় এসবের তুই কি বুঝছ বলে আমার ছেলেকে এলোপাতারি মারধর করতে করতে রাস্তায় নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে একটি দোকান সামনে এনে তাকে মোটা রশি দিয়ে হা পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনায় ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হোসেনের ভায়রা আবুল কাশেম বলেন, ওই কিশোর জাহাঙ্গীরের ছেলের কাছ থেকে ৬০০ টাকা চুরি করেছে। এ ছাড়াও সে জাহাঙ্গীর হোসেনের মাছের ঘের থেকে বিভিন্ন সময়ে জাল ফেলে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এ জন্য তাকে এলাকাবাসী মারধর করেছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ওই কিশোরকে হাত পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায়তার বাবা মোবারক হোসেন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের নামে থানায় আরও মাদক মামলা রয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।