সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনা আত্মসাতের ঘটনা মামলা হয়েছিল, অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলেও বাদ পড়ে মহিউদ্দিনের নাম
|
কুমিল্লায় অন্তর্বর্তী সরকারের এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ‘সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ’ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর মাননীয় এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ কুমিল্লা বার্ড পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকের প্রশ্নের উওরে সমবায় ব্যাংকের সাড়ে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ খুঁজে না পাওয়ার তথ্য প্রকাশ করেন, যা সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার ও সমালোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। জানা যায়, ২০২০ সালেই এই ঘটনাটি উদঘাটিত হওয়ার পর এ বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত এবং দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং আদালতে মামলাও করা হয়েছিল। এলজিআরডি উপদেষ্টার বক্তব্যটি যথাযথ বলে প্রমাণ হলেও কিন্তু ঘটনাটি ২০২০ সালেই উদঘাটিত হয়েছিল। উপদেষ্টার তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন যারা সমবায় ব্যংক এ রক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তারাই ভক্ষক হিসেবে পরিনত হয়েছে। কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুরসহ সারা বাংলাদেশ অসংখ্য সমবায় প্রতিষ্ঠানে গত ৪০/৫০ বছরে অসংখ্য শক্তিশালী দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে, যা বিগত সরকার গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। স্যাটেলাইট চ্যানেল চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তার ভাগনে মিলে সমবায় ব্যাংকের লুটে নেন ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ। শুধু তাই নয়, স্বপ্রণোদিত হয়ে করা দুদকের মামলা থেকেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয় এক নম্বর আসামি মহিউদ্দিন আহমেদের নাম। |