গত ৫
বছরের মধ্যে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সংসদ
সদস্যদেরও পেছনে ফেলেছেন। এ সময়ের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যের অস্থাবর সম্পদ
বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, সেখানে একজন চেয়ারম্যানের
বেড়েছে ১১ হাজার ৬৬৬ শতাংশ।
রোববার (০৯ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস
সেন্টারে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
(টিআইবি) আয়োজিত ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা বিশ্লেষণ ও চূড়ান্ত
ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবির তথ্য
অনুযায়ী, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে একজন বিজয়ীর ৫ বছরে আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০
হাজার ৮৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ; অস্থাবর সম্পদ সর্বোচ্চ বেড়েছে ২৩ হাজার ৯৩৭
দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রায় ৮৪ শতাংশ প্রার্থীর হলফনামার সঙ্গে আয়কর রিটার্নের
সম্পদের হিসেবের পার্থক্য দেখা যায়। নারী ও পুরুষ প্রার্থীদের প্রায়
প্রত্যেক নির্দেশকে উল্লেখযোগ্য বৈষম্য দেখা যায়; প্রায় সব ক্ষেত্রেই
পিছিয়ে ছিলেন নারী প্রার্থীরা।
গত ৫ বছরে ১ কোটি টাকার উপরে অস্থাবর
সম্পদ বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫১ জন। ১০ বছরে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৪১
জন। দেশের মধ্যাঞ্চল, কুমিল্লা-ফেনী অঞ্চল ও খুলনা অঞ্চলে প্রার্থীদের গড়
আয় ও অস্থাবর সম্পদ বেশি। বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা অঞ্চলে প্রার্থীদের গড়
অস্থাবর সম্পদ ৫ বছরে বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গাজীপুর, ময়মনসিংহ
অঞ্চলে।
টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে তিন পদে মোট
প্রার্থী ছিলেন ৫ হাজার ৪৭২ জন। চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৮৬৪ জন, ভাইস
চেয়ারম্যান পদে ২ হাজার ৯৫ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ
করেছেন ১ হাজার ৫১৩ জন।
আইন অনুযায়ী, দলীয় প্রতীকে ভোটের বিধান থাকলেও
নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে
কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী
লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, দেশে উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।
এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ ভোটের ঘোষণা দিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল
নেতৃত্বাধীন কমিশন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে কমিশন তা আর করতে পারেনি। চার
ধাপে ৪৪২ উপজেলায় ভোট শেষ করে কমিশন। আজ ১৯ উপজেলায় ভোট হচ্ছে। সব মিলিয়ে
৪৬১ উপজেলায় ভোট শেষ হবে আজ। আইনি জটিলতা ও মেয়াদ শেষ না হওয়ায় বাকি ৩৪
উপজেলায় পরে ভোট হবে।