নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপ নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী’ ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। যাকে খুশি তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে দিবেন। এ দেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার একমাত্র ক্ষমতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপরে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতা নাই। গতকাল কুমিল্লা মহানগরীর দক্ষিণ আশরাফপুর এলাকায় এক উঠান বৈঠকে তানিম এসব কথা বলেন।
এমপি বাহারকে উদ্দেশ্যে করে তানিম বলেন, সংগ্রাম করছি আমরা, নির্যাতন সহ্য করেছি আমরা- এখন নির্বাচনের সময় এলো উনার মেয়ে।
বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার উদ্দেশ্যে তানিম বলেন, জীবনে মিছিল করলো না, মিটিং করলো না, নির্যাতন সহ্য করলো না, জেল খাটলো না, আমাদেরকে এক কাপ চা বানাইয়া খাওয়াইলো না; সে এখন বিরাট বিধগ্ধ নেত্রী। একটা মিটিংয়ে যাওয়ার আগে যে সাজগুজটা করে এটা করতেই নাকি ২০ হাজার ২৫ হাজার টাকা লাগে। এক পোশাক একদিনে ২য় প্রোগ্রামে পরে না। উনি আবার জ্ঞানও দিচ্ছেন আমাদেরকে। ৪০ বছর রাজনীতি করলাম একদিনের জন্য ছাত্রলীগের কোনো মিছিল-মিটিংয়ে দেখলাম না উনি হয়ে গেছে আমাদের আওয়ামী লীগের একক ক্যান্ডিডেড। আর আমরা মিছিল মিটিং করলাম জেল খাটলাম, পদ-পদবী নিলাম ভিক্টোরিয়া কলেজের জিএস হলাম আমরা কিচ্ছু হতে পারলাম না। আমরা আওয়ামী লীগের কেউ না।
এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে তানিম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে একটি পক্ষ সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগনকে বুঝাইতে চাইছে। নির্বাচন হবে সহিংসতাপূর্ন যাতে জনগন যাতে জনগন ভোট কেন্দ্রে না যায়। নির্বাচন কমিশন যদি এই ঘটনাগুলোকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ৯ তারিখে একটি সংঘাতময় পরিবেশে নির্বাচন হবে। আতঙ্ক দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর মজুমদার, আনোয়ার হোসেন,সৈয়দ সোহেল,জিল্লুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল যুবলীগ নেতা কাজী মোসনবী,মোহাম্মদ হোসেন, আশিকুর রহমান, রাসেল হোসেন,রাহেতউল্লাহ উজ্জল,এমরান হোসেন,শাহেদ আলম,রহমত হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম হায়দার রনিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেন।