ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
ব্যালেট বক্সে হাত দিলেই গুলি- জেলা প্রশাসক
আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে জেল
Published : Friday, 10 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 10.12.2021 12:36:55 AM
ব্যালেট বক্সে হাত দিলেই গুলি- জেলা প্রশাসকতানভীর দিপু: কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, নির্বাচনের সময় ব্যালেট বক্সে হাত পড়লেই গুলি চালানো হবে।  নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করলে জেল দেওয়া হবে। নির্বাচনের আচরনবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে তিন উপজেলায় দু’জন করে ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে কাজ করছে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশনা আছে। যে কারণে কুমিল্লা সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনা অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। নির্বাচনের আগের দিন রাতের বেলা কেন্দ্রের পাশে ঘুরোঘুরি করে কোন লাভ হবে না, কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে। সুতরাং প্রার্থীদের কাছে কঠোর নির্দেশ দেয়া হলো তারা যেন তাদের সমর্থক বা শুভাকাঙ্খিদের বলে দেন কোন অনিয়ম করলে কেউই ছাড় পাবেন না।
জেলা প্রশাসক গতকাল কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের অংশ গ্রহণে আচরণবিধি প্রতিপালন, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে সবাইকে আচরণবিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। রক্ততপাতহীন সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন ভোটারদের নাগরিক অধিকার রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। বেআইনি ভাবে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মিছিল বা সভা করা যাবে না।
আদর্শ সদর উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, জেল দিয়েই আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি শুরু হবে। ব্যালটে অবৈধভাবে একটা হাত পড়লেই নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে। গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে নিয়মিত। সবার সম্পর্কেই তথ্য নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনে কোন অনিয়ম জেলা পুলিশ সহ্য করবে না।  
আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার, সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম।
চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলা  ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনাভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিন নৌকার প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ‘নৌকা’ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন ২নং দূর্গাপুর (উত্তর) ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ৩নং দূর্গাপুর (দক্ষিন) ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো.আমিনুল হক এবং ৬ নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মামুনুর রশিদ মামুন।  ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল নৌকা প্রতীক পেলেও মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। এ ইউনিয়নে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকাতে একমাত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাসান রাফি রাজু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
 এ উপজেলার ১নং কালিরবাজার ইউনিয়রন ও ৪ নং আমড়াতলী ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কালিরবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মো. সেকান্দর আলী (আনারস), নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এলাকায় নতুন মুখ নূরুল ইসলাম নূর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী আবদুল হক (ঘোড়া) ও সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলী আহাম্মদ পুত্র কামাল হোসেন (মটর সাইকেল)। আমড়াতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও রুবেল আহম্মেদ।