কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিতকরন ও পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ এর সীমাহীন দূর্নীতির প্রতিবাদ এবং তার পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ- চিকিৎসা সেবা শাখা।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।
এসময় কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মোতালেব চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট আখতার হোসাইন, ওমর ফারুক চৌধুরী, মহানগরের সদস্য সচিব মোঃ নাসির উদ্দিনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণ এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিন বেলতলীতে ট্রমা হাসপাতাল অবিলম্বে চালু করণ করতে হবে। তা না হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেইটে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।মানববন্ধনে কুমিল্লা বাচাঁও মঞ্চের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আব্দুল মেতাবে বলেন, বিএনপি দলীয় ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোঃ বিল্লাল মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪ দিন পর কুমিল্লা বাচাঁও মঞ্চের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জননেতা মনিরুল হক চৌধুরী সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থান করার পর উক্ত বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো চিকিৎসককে পাননি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক নানাবিধ দুর্নীতির সাথে জড়িত। বিগত নভেম্বর ২০২৪ থেকে এমআরআই মেশিন এবং সিটি স্কেন মেশিন অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে রোগীদের সেবার মান বিঘ্নিত হচ্ছে। দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগীগুলো প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ করে পরিচালক নিজে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, হাসপাতালে রোগীরা কোন সেবা পাচ্ছেনা, পরিচালক ডাঃ মাসুদ এর সীমাহীন দূর্ণীতির কারনে হাসপাতালে শুধু নাই আর নাই শব্দ শুনা যায়। রোগীর ঔষধ বিক্রি করে দেন পরিচালক, হাসপাতালের বিভিন্ন মেশিন নষ্ট করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরিচালক কমিশন নিচ্ছেন। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে কুমেক পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ এর সাথে মুঠো ফোন ও খুদে বার্তায় একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সরকারি সেবা কেন্দ্র। ৫ শ' বেডের হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ১২ শ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের আউটডোর সেবা এখানে চালু রয়েছে। কুমিল্লা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁদপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোয়াখালী ফেনী থেকেও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন অনেকে।