বিশ্ব
ফুটবলের মঞ্চে আবারও বাজল লাতিন ঢাক। রক্ষণাত্মক শক্তি, গোছানো পাস আর
আগ্রাসী ছন্দে ইংলিশ ক্লাব চেলসির ‘ব্লু’ প্রাচীরকে ভেঙে ফেলল ব্রাজিলের
ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা
জিতল ৩-১ গোলে। আর সেই সঙ্গে পকেটে পুরল ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটের টিকিট।
চেলসির
বিপক্ষে এমন নাটকীয় জয়ে ফুটবলবিশ্ব যেন আবারও চমকে উঠল। এর আগেই বতাফোগো
চমকে দিয়েছিল পিএসজিকে। এবার ফ্ল্যামেঙ্গো চমক দেখাল ইংল্যান্ডের সাবেক
চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। দুই ম্যাচে দুই জয় তুলে নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে
ফ্ল্যামেঙ্গো এখন একচ্ছত্র অধিপতি।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল
ফিল্ডে ম্যাচটি ছিল সত্যিকারের নাটকের এক অধ্যায়। শুরুতে ফ্ল্যামেঙ্গো
অনেকবার চেষ্টা করলেও প্রথম সুযোগ কাজে লাগায় চেলসি। ১৩ মিনিটে রক্ষণের এক
ভুলে গোল করেন পেদ্রো নেতো। ইংলিশ ক্লাব তখন নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে।
কিন্তু সেই মুহূর্তে সীমানার প্রহরায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্ল্যামেঙ্গোর
আর্জেন্টাইন গোলকিপার আগুস্তিন রসি।
প্রথমার্ধে স্কোরলাইন বদলায়নি। তবে
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে এক নতুন ফ্ল্যামেঙ্গো। যেন কেউ হৃদয়ে আগুন ছুঁড়ে
দিয়েছে। ৬২ মিনিটে মাঠে নেমেই গোল করেন অভিজ্ঞ ব্রুনো এনহিকে। আর তিন মিনিট
পরই কর্নার থেকে আসা বল দানিলোর মাথা ছুঁয়ে চেলসির জালে।
চেলসি তখনও
গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তার আগেই আরেক বিপর্যয়। বদলি হিসেবে নামা নিকোলাস
জ্যাকসন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফ্ল্যামেঙ্গোর উচ্ছ্বাস তখন আরও এক ধাপ
চড়া। ৮৩ মিনিটে ওয়ালাসে ইয়ান গোল করে জয় নিশ্চিত করেন এবং উৎসবের সুরে
গর্জে ওঠে লাল-কালো সেনারা।
এই ম্যাচ শুধু একটি জয়ের গল্প নয়, এটি
ইউরোপিয়ান অহংকারের মুখে এক লাতিন চপেটাঘাত। ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের
প্রতিনিধিরা এবার যেন ঠিক করেছে; মঞ্চে শুধু নাম তুলবে না ইতিহাসও লিখবে।