প্রথম
টেস্ট অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে। গলে ২০১৩ সালের পর আবার ড্র করলো
বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের ফর্মে
ফেরা ব্যাটিং আর অফস্পিনার নাইম হাসান ও পেসার হাসান মাহমুদের বারুদে
বোলিংয়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ওপর খানিক প্রভাব বিস্তার করেই ট্রেস্ট ড্র
করেছে টাইগাররা।
আগামী ২৫ জুন শুরু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর ২
জুলাই থেকে শুরু হবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল
কবে ঘোষণা করা হবে?
ধারণা ছিল, ২৫ জুন নাগাদ হয়ত দল ঘোষণা হবে। কারণ
আগামী কাল ২৩ জুন ও ২৫ জুন চট্টগ্রামে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ হওয়ার কথা।
মনে হচ্ছিল, সেই ২ ম্যাচ দেখে ক্রিকেটারদের কারো কারো ফিটনেস ও বর্তমান
পারফরমেন্সের শেষ অবস্থা খুঁটিয়ে যাছাই করে তারপর বুঝি দল নির্বাচন চূড়ান্ত
করা হবে।
কিন্তু তা আর হচ্ছে না। বিসিবি থেকে এরই মধ্যে
আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ২৩ জুন সকাল ১১ টায় দল ঘোষণা করা হবে।
তার মানে ওয়ানডে সিরিজের দল গোছানোর কাজ শেষ। প্র্যাকটিস ম্যাচ দুটি শুধুই
প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ। ট্রায়াল ম্যাচ নয়।
যতদুর জানা গেছে, ওয়ানডে
স্কোয়াডে কোন নতুন মুখ থাকছে না। নির্বাচকরা আগে একদিনের ক্রিকেটে জাতীয়
দলের হয়ে খেলেছেন, এমন পারফরমারদের ওপরই আস্থা রাখতে চাচ্ছেন।
তবে তার
সাথে অন্তত ২ জন ক্রিকেটারের আবার দলে ফেরার খবরও শোনা যাচ্ছে। যার একজন
হলেন নাইম শেখ, অন্যজন নুরুল হাসান সোহান। বাঁ-হাতি ওপেনার নাইম শেখ দলে
ঢুকলে দুই বাঁ-হাতি সৌম্য সরকার কিংবা পারভেজ হোসেন ইমনের যে কোনো একজনকে
দল থেকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে।
আগেই জানা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দুই
সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসরে চলে গেছেন।
তাই তাদের জায়গাটাও খালি। সে জায়গায় নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের
সাথে নুরুল হাসান সোহান মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ঢুকবেন। আর নাইম শেখ
দলে আসলে খুব স্বাভাবিবভাবেই তিন বাঁ-হাতি তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার,
পারভেজ ইমনের একজনকে বাইরে চলে যাওযার কথা।.