প্রথম
ইনিংসে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অভিজ্ঞ স্টিভেন
স্মিথের কল্যাণে কোনোরকমে দুইশ স্পর্শ করেছিল তারা। তবে বোলাররা দুর্দান্ত
পারফর্ম করে অজিদের ম্যাচে ফেরালেন। বিশেষ করে প্যাট কামিন্স। অধিনায়ক
একাই শিকার করলেন ৬ উইকেট। যা ফাইনালে কোনো বোলারের ইনিংসে সর্বোচ্চ
শিকার। কামিন্সের এমন বোলিংয়ে দেড়শর আগেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে ৭৪
রানের লিড পেল অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে
২১২ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ৫৭ ওভার ১ বলে ১৩৮ রানের বেশি
করতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন ডেভিড
বেডিংহ্যাম।
নতুন বলে বরাবরের মতোই ভীতি ছড়িয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্র এনে দেন অভিজ্ঞ এই পেসার। শেষ বলে এইডেন
মার্করামকে বোল্ড করেন তিনি। ফলে রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারায়
প্রোটিয়ারা।
আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে
পারেননি। ১৬ রানে ফিরেছেন তিনি। তিনে নেমে উইয়েন মুল্ডার ফিরেছেন দুই অঙ্ক
স্পর্শ করার আগেই। ব্যর্থ ছিলেন ট্রিস্টান স্টাবসও। ফলে ৩০ রান তুলতেই ৪
উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে টেম্বা বাভুমা ও
বেডিংহ্যাম মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ৩৬ রানের বেশি করতে
পারেননি বাভুমা। অধিনায়ক ফেরার পর আরেকবার ধস নামে প্রোটিয়াদের ইনিংসে।
তাতে এক প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেও আরেক প্রান্তে চেষ্টা করেছেন
বেডিংহ্যাম।
শেষ পর্যন্ত ৪৫ রানে থামতে হয়েছে বেডিংহ্যামকে। আর দক্ষিণ
আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ১৩৮ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার
করেছেন কামিন্স। এ ছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক।