‘সিঙ্গাপুর
ম্যাচের আগে হামজাকে ঘরের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা দিতে চাই’, বলেছিলেন
হাভিয়ের কাবরেরা। তবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ
নিশ্চিত করলেন না, ভুটানের বিপক্ষে শুরুর একাদশে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার
থাকবেন কিনা। আরেক প্রবাসী খেলোয়াড় সামিত সোমকে এ ম্যাচে খেলানোর বিষয়েও
সতর্ক তিনি।
প্রাথমিক দলে থাকা ২৬ জনের মধ্যে কেবল সামিতই এ মুহূর্তে
ক্যাম্পে নেই। বুধবার সকালে কানাডা থেকে এই মিডফিল্ডারের ঢাকায় পা রাখার
কথা। এদিন সন্ধ্যাই ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ
খেলতে নামবে বাংলাদেশ। লম্বা ভ্রমণ শেষে সামিত শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলার
কতটা উপযোগী থাকবেন, সেটা দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে চান কোচ।
কিছু বিষয়ের
সিদ্ধান্ত অবশ্য নিয়েই রেখেছেন কাবরেরা। আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে ভুটান বিপক্ষে তিনি পরখ
করে নিতে চান খেলোয়াড়দের। তাতে ইতালি প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলামের
লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়ে যেতে পারে। ম্যাচের কোনো পর্যায়ে নামলে
হামজাও পেয়ে যাবেন প্রথমবারের মতো দেশের মাঠে খেলার স্বাদ।
“কিছু
খেলোয়াড় সুযোগ পাবে খেলার, কিন্তু একই সঙ্গে আমি আবারও বলছি, সিঙ্গাপুর
ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আগামীকালের ম্যাচটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমি মনে করি, দলের মধ্যে আপনারা একটা মিশ্রণ দেখতে পাবেন। হামজাকে পাওয়া
যাবে। আমি মনে করি, সবাই মানিয়ে নিতে প্রস্তুত। যারা আমার বা দলের সাথে
লম্বা সময় আছে, যারা নেই সবাই প্রস্তুত।”
“যখন আমরা সামিতের কথা
ভাবছিলাম, তখনই তাকে দলে তার ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়েছি। এসব নিয়ে খোলামেলা
আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে এবং সে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে পুরোপুরি তৈরি।
তবে, লম্বা ভ্রমণ করে সে আসবে, তাকে নিয়ে আমাদের আরও একটু বেশি সতর্ক হতে
হবে। সে যেন দলে এসে সচ্ছন্দবোধ করে, এজন্য তাকে সাহায্য করতে হবে আমাদের।”
ম্যাচের
ভেন্যুতে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ।
হামজা-মিতুলদের এক পলক দেখতে স্টেডিয়ামের বাইরে ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যেই
অপেক্ষারত ছিলেন সমর্থকদের অনেকে। কেউ কেউ গেটের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ফুটবলারদের
অনুশীলন এক নজর দেখার জন্য উঁকি-ঝুঁকি দিতে দিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল
ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনকক্ষেও একই অবস্থা। চেয়ার-মেঝেতে বসে, দাঁড়িয়ে
সংবাদ সম্মেলন কাভার করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। কাবরেরাও অনুভব করতে পারছেন
প্রত্যাশার পারদ কতটা উঁচুতে।
“আগামীকাল আমাদের সামনে চমৎকার একটা
চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে এবং আমি বিশ্বাস করি, ভুটান ম্যাচটি আমাদের জন্য
সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য নিখুঁত পরীক্ষা হবে। সবাই ভীষণ শিহরিত এবং
প্রত্যাশাও অনেক বেশি, যেটা খুবই ভালো ব্যাপার। এই ঘরের আবহ চমৎকার এবং এটা
আমাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণারও।”
“বিশেষ করে এই ম্যাচগুলো নিয়ে আমরা
নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলেছি। অনেক দিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ দুটি
হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকবে এবং আমরা
সত্যি সত্যিই তাদের সবাইকে প্রতিদান দিতে চাই। তবে অবশ্যই, আমাদের মূল
লক্ষ্য সিঙ্গাপুর ম্যাচ।”