ইংলিশ
প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি বাংলাদেশে আসার পর
থেকে অন্যরকম আবহ। সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের মতোই গণমাধ্যমেও দেশের ফুটবলের
প্রতি বাড়তি আগ্রহ। আগামীকাল (বুধবার) বাংলাদেশ-ভুটান এশিয়ান কাপ বাছাই
পূর্ববর্তী প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল
বাফুফে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আসনের চেয়ে অধিক সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত
হওয়ায় অনেকেই ফ্লোরে বসে কাভার করেছেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় ভুটান দলের
সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলন কক্ষ পূর্ণ হয়ে যায় সাড়ে ৪টার
পর থেকেই। শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে যারা নিয়মিত ফুটবল প্রতিবেদন করেন তারা
চেয়ার পাননি। বাধ্য হয়েই দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এরপর ফেডারেশনের বোর্ড রুম
থেকে কয়েকটি চেয়ার আনলেও সবার সংকুলান হয়নি। ফলে ১৫-২০ জন সাংবাদিক মেঝেতে
বসেই সম্মেলন কাভার করেন।
ভুটানের কোচ ও ম্যানেজার সম্মেলন করে চলে
যাওয়ার পরপরই প্রবেশ করেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা
ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। জামাল শুরুতেই সাংবাদিকদের এমন পরিস্থিতির ছবি ও
ভিডিও করে রাখেন। আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে প্রাথমিক বক্তব্যের পরপরই জামালের
কাছে মিডিয়ার উপচে পড়া ভিড় ও সাংবাদিকদের এমন অবস্থা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া
জানতে চাওয়া হয়। অধিনায়ক জামাল তার মন্তব্য প্রকাশ করেন এভাবে, ‘এখানে বলা
উচিৎ, আরও চেয়ার কেনা উচিৎ বাফুফের। আজকে প্রথম আমি এত সাংবাদিক দেখছি। যা
দেখে ভালো লাগছে, কিন্তু কষ্ট লাগছে আপনারা নিচে বসেছেন দেখে।’
জাতীয়
ফুটবল দলের অধিনায়কের কষ্ট লাগলেও বাফুফের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবশ্য এতে
খুব বেশি কিছু যায়-আসে না। সম্মেলন কক্ষে আসন সংকট ও সাংবাদিকবান্ধব
পরিবেশ নেই যে এটা দীর্ঘদিন থেকে বলে আসলেও কোনো সমাধান হয়নি। বাফুফের
নবনির্বাচিত মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবুকে সাংবাদিকরা পান
না প্রয়োজনীয় সময়ে।
সম্মেলন কক্ষের মতো সাংবাদিকদের ভিড় ছিল জাতীয়
স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন কাভারেও। আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগেরদিন ১৫
মিনিট মিডিয়া অনুশীলনে উপস্থিত থাকতে পারে। হামজা চৌধুরির জাতীয় স্টেডিয়ামে
প্রথম অনুশীলন কাভারের সুযোগ, এজন্য অনেক মিডিয়া কর্মী এসেছিলেন।
স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও খানিকটা বাকবিতণ্ডা হলেও
পরবর্তীতে অবশ্য সবাই প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।.