চলতি
বছর হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের
অন্তত ১৫ লাখ হজযাত্রী। আগামী ৪ জুন শুরু হতে যাওয়া এবারের হজে সর্বোচ্চ
নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি
সরকার। বিশেষত গত বছরের মারাত্মক গরমে অর্থাৎ হিটস্ট্রোক থেকে প্রাণহানির
বিষয়টি মাথায় রেখে এবার নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
সৌদি আরবের হজ ও
ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে গালফ নিউজ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরম ও হিটস্ট্রোক
ঠেকাতে এবার ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং দুই লাখ ৫০ হাজার
কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন হজ ব্যবস্থাপনায়। এছাড়া হজ-সংশ্লিষ্ট এলাকা
যেমন মক্কা, মদিনা, আরাফাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে
৪০০টিরও বেশি কুলিং ইউনিট। তীব্র গরমের সময় যাত্রীরা যাতে কিছু সময়
বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে ছায়াযুক্ত এলাকাও, যার পরিমাণ এখন
৫০ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি।
সৌদি আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার (২
জুন) বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরই মধ্যে
হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন, যা দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
নিশ্চিত করেছে।
তবে এত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও হজ করতে পেরে ভীষণ
উচ্ছ্বসিত মুসল্লিরা। ফিলিপাইন থেকে আগত আবদুল মাজিদ আতি বলেন, আমি যে এবার
হজে আসতে পেরেছি, এটা আল্লাহর দয়া ছাড়া সম্ভব হতো না। এখানে এসে খুবই
শান্তি ও নিরাপদ অনুভব করছি।
নাইজেরিয়ার ২৭ বছর বয়সী আবদুল হামিদ জানান,
হজে আসতে পারায় আমি খুবই খুশি, তবে গরমটা সত্যিই অসহনীয়। অবশ্য সৌদি সরকার
হাজিদের কথা মাথায় রেখে অনেক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।
সেনেগাল থেকে আগত ৫২ বছর বয়সী মারিয়ামা বলেন, আমার সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল একবার হজ করার। আল্লাহর রহমতে এবার তা পূর্ণ হয়েছে।