কুমিল্লার
চান্দিনা উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ
না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংসার খরচ চাইলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওই
গৃহবধূ। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম জোবেদা আক্তার। তিনি উপজেলার মহিচাইল
ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জাহিদ হাসান বিল্লাল এর তৃতীয়
স্ত্রী। বিল্লাল মহিচাইল উত্তর পাড়ার মরহুম মনিরুল হক মনু মিয়ার ছেলে।
রবিবার
(১ জুন) বিকেলে চান্দিনা হাই স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ
সম্মেলনে স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। এবিষয়ে
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের
করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে মহিচাইল ইউনিয়নের ১নং
ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার জাহিদ হাসান বিল্লাল এর সাথে ডিভোর্স প্রাপ্ত ২
সন্তানের জননী জোবেদা আক্তারের বিয়ে হয়। মহিচাইল বাজারে জয়নাল মার্কেটের
দ্বিতীয় তলায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। আগের সংসারের দুটি সন্তান
ছিলো জোবেদার। বিয়ের পর তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও নিবেন- এমন প্রতিশ্রুতি
দেয় জাহিদ হাসান বিল্লাল। কিন্তু বিয়ের পর কয়েক বছর ভালভাবে চললেও গত দুই
বছর ধরে তাদের ভরণ-পোষণ না দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল
ওই মেম্বার।
এদিকে, বিল্লাল মেম্বার তার তালাক দেওয়া দ্বিতীয় স্ত্রীর
সাথে গ্রামের বাড়িতে অবৈধভাবে সংসার করছে বলে দাবি করেন তৃতীয় স্ত্রী।
এবিষয়ে খবর নিতে গেলে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ও তার ছোট ভাই জোবেদাকে শারিরীক
ভাবে নির্যাতন করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন,
গত কয়েক বছর ধরে তার স্বামী বিল্লাল তার স্ত্রী জোবেদার নামীয় সম্পত্তি
বিক্রি অথবা ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়ে টাকা তুলে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এতে
রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার (৩০ মে) তাকে বেধরক মারধর করে। টাকা না দিলে
প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় স্বামী বিল্লাল। স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেও কোন
বিচার পায়নি জোবেদা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বিল্লাল জানান,
আমার স্ত্রী জোবেদা আক্তার তার পূর্বের স্বামীর সাথে এখনও সম্পর্ক রাখে ও
যোগাযোগ করে। এছাড়াও সে আরও একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়া করে। আমি বাঁধা
দিলে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। সে আমাকে মারধর পর্যন্ত করেছে। আমি মেম্বার
হওয়ায় কারণে কারো কাছে এসব কথা প্রকাশ করতে পারি না। আমি আল্লাহর কাছে
বিচার দিয়েছি। আর কিছু বলতে চাই না।
এবিষয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।