সাফ
চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য কৌশলের একটা ধারণা
দিলেন মাসুরা পারভীন। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার জানালেন, রক্ষণাত্মক খেলা একদমই
পছন্দ নয় কোচ পিটার জেমস বাটলারের, তার পছন্দ আক্রমণাত্মক ফুটবল। মেয়েরা তা
রপ্ত করছে বলে জানালেন মাসুরা।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে
আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই বছর আগের ফাইনালে
নেপালকে হারিয়ে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের
ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল বাংলাদেশ। জয়ী দলের সদস্য মাসুরা জানালেন
সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে তারা খেলবেন আগ্রাসী ফুটবল।
“নতুন কোচ
আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত করছেন। ভালো অনুশীলন হচ্ছে। উনি চান না আমরা নিচে
নেমে খেলি, উনি রক্ষণাত্মক ফুটবল পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ সময় আমাদের
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলান। আক্রমণাত্মক খেলা-ই উনি পছন্দ করেন।”
এই কৌশল
অবশ্য খুব বেশি পরখ করে নিতে পারেননি বাটলার। গত জুলাইয়ে সবশেষ প্রীতি
ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। কোচের মতো দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সানজিদা আক্তারও
বললেন, ম্যাচ খেলার কমতির কথা। তবে, লক্ষ্যের প্রশ্নে তিনিও দিলেন ভালো
কিছুর প্রতিশ্রুতি।
“আমরা ওরকম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারিনি। আমরা
নিজেরা, নিজেরা ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু অন্য দেশের সাথে খেলতে পারলে অনেক
ভালো হতো। আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ধরতে পারতাম, ভালো হতো, অনেক
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারতাম। কিন্তু সাফের জন্য আমাদের
প্রস্তুতি মোটামুটি আছে, চেষ্টা করব ভালো কিছুর করার।”
বর্তমান দলের
সাবিনা খাতুন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দার মতো দেশের
বাইরের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সানজিদারও। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা এই
ফরোয়ার্ড বললেন, দেশের বাইরে খেলার অভিজ্ঞতা তারা কাজে লাগাতে চান সাফের
মুকুট ধরে রাখার অভিযানে।
“আমাদের দলের অনেকের বাইরের লিগে খেলার
অভিজ্ঞতা আছে। আমরা সেগুলোও কাজে লাগাব। আর এখানে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পিং করি।
প্রতিনিয়ত অনুশীলন করছি। সব মিলিয়ে আমাদের বন্ধন অনেক ভালো।”
২০ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফের মুকুট ধরে রাখার লক্ষ্েয পথচলা শুরু করবে বাংলাদেশ।