শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২
আপনার শিশু কি প্রায়ই ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে?
প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ৮:৫০ পিএম |

আপনার শিশু কি প্রায়ই ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে?অনেক বাচ্চাকে ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে ফেলতে দেখা যায়। একে Nocturnal enuresis (NE), যাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিছানা ভেজানোও বলা হয়। সাধারণত যে বয়সে মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়, তার পরে ঘুমানোর সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব হতে পারে। ৫ বছর বয়সের পর বাচ্চা রাতে ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করলে আমরা তাকে নকচার এনুউরেসিস বলি।

কারণ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের মস্তিষ্কের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণকারী সেন্টার বিলম্বে পরিণত হওয়াই এক্ষেত্রে দায়ী। ১০-১৫% ক্ষেত্রে প্রস্রাবে প্রদাহ অথবা প্রস্রাবের নালির জন্মগত ত্রুটি এতে প্রভাব ফেলতে পারে।

মাতৃদুগ্ধ শিশুর অমূল্য পুষ্টির আধার।

কাদের হয়-
১. মেয়ে বাচ্চা (৪০ শতাংশ) থেকে ছেলে বাচ্চাদের (৬০ শতাংশ) মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

২. যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাদের হতে পারে।

৩. যে-সব বাচ্চা ADHD (অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার) এর সমস্যায় ভুগছে, তাদের হতে পারে।

৪. যেসব বাচ্চা রাতে ঘুমানোর সময় নাক ডাকে,এডিনয়েডের সমস্যা আছে, তারা অনিচ্ছাকৃত ঘুমের ঘোরে বিছানায় প্রস্রাব করে দিতে পারে।

৫. এমনকি যেসব বাচ্চা স্নায়ুগত সমস্যায় ভুগছে যেমন প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না, ঘন ঘন ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব করে, তাদের এই সমস্যা হতে পারে।

শিশুর ডেন্টাল ইনজুরিতে যা করবেন-

প্রতিকার-

এই রোগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বড় হলে এই রোগ এমনিতেই সেরে যায়। তারপরও কিছু নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে আগেভাগেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

১. বাচ্চাকে সন্ধ্যার পর বেশি পানি খাওয়ানো যাবে না। সারা দিনের ৬০ শতাংশ পানি দিনের বেলা, ২০ শতাংশ পানি সন্ধ্যার পর খাওয়াতে হবে। রাতে ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে কোন পানি খাওয়ানো যাবে না।

২. দিনের বেলায় বেশি পানি খেয়ে প্রস্রাব ধরে রেখেও মূত্রথলির ক্যাপাসিটি বাড়ানো যায়।

৩. বিকেল ৪টার পর চা, কফি শরবত খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করিয়ে ঘুমাতে পাঠাতে হবে।

৫. প্রয়োজনে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে প্রস্রাব করাতে হবে।

৬. প্রস্রাবে প্রদাহ, কৃমি প্রদাহ, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।

৭. কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যান্টে মাস্টার অ্যালার্ম সেন্সর ব্যবহার করেও ভালো ফল পাওয়ায় যায়।

৮. সর্বোপরি বাচ্চার ওপর রাগ না করে, ভয় না দেখিয়ে, বরং বিছানায় প্রস্রাব না করলে পুরস্কৃত করতে হবে।

৯. এসব কোন কিছুই যদি কাজে না আসে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।


লেখক: ডা: জ্ঞানব্রত শুভ্র।
সহকারী রেজিস্ট্রার, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর।












সর্বশেষ সংবাদ
এক বছরে সাড়ে ৩ শ ধর্ষণের অভিযোগ কুমিল্লায়
সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেলে ধারনা করা যাবে নির্বাচন কবে হবে: সিইসি
আজ কুমিল্লায় আসছেন সিইসি
চান্দিনায় মধ্য রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
এক বছরে ৯৬ বেওয়ারিশ লাশ দাফন কুমিল্লায়
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা ইকরা মডার্ণ স্কুলের বার্ষিক ফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
জিয়া সাইবার ফোর্স- কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটি অনুমোদন
কুমিল্লায় বিজিবি অভিযানে ৬০ কেজি গাঁজা জব্দ
চান্দিনায় মধ্য রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণ নয়’
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২