বাংলাদেশ দলের ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগ এগিয়ে আসার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি। কারণ ম্যাচ ভেন্যুগুলোই প্রস্তুত নয় ভালোভাবে। তাই ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে ফুটবল লিগ। তবে ১২ দলের সাত ভেন্যু চূড়ান্ত হয়েছে গতকাল লিগ কমিটির সভায়। এর মধ্যে দেশের পেশাদার ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি দল খেলবে নিজেদের ক্লাব মাঠে। এটি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, যারা বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তৈরি ‘কিংস অ্যারেনা’য় খেলবে নিজেদের হোম ম্যাচগুলো।
দেশে পেশাদার ফুটবলের বয়স এক যুগ পেরিয়ে গেলেও কোনো দলের নেই নিজেদের ক্লাব মাঠে খেলার গৌরব। নামে পেশাদার হলেও বাস্তবে কোনো ক্লাবেরই নেই নিজস্ব মাঠ। এখানে-ওখানে চলে লিগ ম্যাচগুলো। এই ধারা বদলে প্রথম বসুন্ধরা কিংস খেলবে নিজেদের ক্লাব মাঠে। ফ্লাডলাইট বাদে বাকি সব প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ নিয়ে ঢাকার ফুটবলের নতুন ভেন্যু তৈরি হয়ে যাবে এ মাসের মধ্যে। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘ঢাকার বাইরে ছয়টি ভেন্যুর সঙ্গে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স যোগ হচ্ছে। বাফুফের প্রতিনিধিদল গিয়ে এই ভেন্যুর যাতায়াতব্যবস্থা, প্রেস বক্স, গ্যালারিসহ সব কিছু দেখেছে। কিছু কাজ বাকি থাকলেও এ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
এই নতুন ভেন্যুর সঙ্গে আছে পুরনো ছয়টি। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম, রাজশাহীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম, মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ও সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। এর মধ্যে কুমিল্লা ও সিলেটের মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। দুই মাঠেই ক্রিকেট উইকেট আছে, এগুলো সরিয়ে ফুটবল মাঠে রূপ দেওয়ার কাজ করছে বাফুফে। তবে কোনটি কার ভেন্যু—এ নিয়ে লিগ কমিটি চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে পরে এবং সেই অনুযায়ী ফিকশ্চার চূড়ান্ত হবে।
তবে রেফারিং বিতর্ক নিয়ে এই ফুটবল মৌসুম শুরু হওয়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এরই মধ্যে বিকল্প ভাবনা শুরু করেছেন। ক্লাবগুলোর দাবি মেনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিদেশি রেফারি আনার কথা ভাবছেন। এর পরও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী দেশি রেফারির পক্ষ নিয়ে রেফারিং বিতর্ক জিইয়ে রাখতে চাইছেন, ‘সভাপতি হয়তো কিছু চিন্তা করে বিদেশি রেফারি আনার কথা বলেছেন। তবে আমি করি দেশি রেফারির উন্নতির জন্য তাদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করার বিকল্প নেই। এর পরও সভাপতি যেটা বলেছেন হয়তো সেটারই বাস্তবায়ন করা হবে।’ এ ছাড়া ডাগআউটে বাফুফে সদস্যদের দাঁড়ানো নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে শোরগোল উঠলেও মুর্শেদীর এ নিয়ে সোজাসাপ্টা কোনো বক্তব্য নেই। বিষয়টাকে ঠেলে দিয়েছেন বাফুফে নির্বাহী কমিটির টেবিলে।