তিন বছর
মেয়াদি (২০১৭-২০) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর
পাড়ে গাছ না লাগিয়েই বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগের
অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫
সেপ্টেম্বর) নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান ভুঁইয়া এ রিট দায়ের করেন। রিটে
দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৮ জুলাই
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গাছ না লাগিয়েই ১৬৯ কোটি টাকা উত্তোলন’ শিরোনামে
প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বছর মেয়াদি (২০১৭-২০)
পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর পাড়ে গাছ লাগানোর
কথা ছিল। তবে খাল খনন করা হলেও খালের পাড়ে গাছ না লাগিয়েই তুলে নেওয়া
হয়েছে বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য
উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের পরিদর্শন পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংশোধিত উন্নয়ন
প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) খাল উন্নয়নে খালের উভয় পাড়ে গাছ লাগানোর কথা
থাকলেও সরেজমিনে বিষয়টি তেমন পরিলক্ষিত হয়নি।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে,
ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে ১ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে
পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। পাড়
যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার খালের পাড়ে গাছ লাগানোর
পরিকল্পনা করা হয়। আর খাল উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ করা
হয় ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত এই খাতে খরচের ১৬৯ কোটি টাকা
তুলে নেওয়া হলেও খননের পর খালের পাড়ে গাছ লাগানো হয়নি।
ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।