সুপ্রিম
কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী
মানিককে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে ‘ভারতে যাওয়ার
প্রাক্কালে’ সীমান্তে বিজিবির হাতে তিনি আটক হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের
পক্ষে সোচ্চার এই সাবেক বিচারপতি বিভিন্ন সময়ে তার মন্তব্যের জন্য আলোচিত
ছিলেন। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল
না।
এরইমধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর
মন্তব্য করার’ অভিযোগে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা
হয়েছে বৃহস্পতিবার।
মো. জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী ঢাকার মহানগর হাকিম
সাইফুল ইসলামের আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি
রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও সেখানে আসামি করা হয়।
‘মানহানির’
অভিযোগে বিবাদীদের কাছে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাদী। বিচারক
তার আর্জি শুনে অভিযোগ তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩
অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের একে আলোচনা অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার ও
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে’ আখ্যায়িত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সেমিনারে
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ‘মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না’। তিনি ছিলের মুক্তিযুদ্ধে
‘অনুপ্রবেশকারী’।
এছাড়া জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির
সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ গত ১৯ অগাস্ট নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক
হাকিম আদালতে আরেকটি মামলা করেছেন। সেখানেও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে
‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক বিচারপতি মানিকের
বিরুদ্ধে।