কোটা সংস্কার
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর স্বল্প
দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে ৯টা
পর্যন্ত দুটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে
কমলাপুর স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে দুটি ট্রেন কমলাপুর
স্টেশন ছেড়ে গেছে। আজ আরও কয়েকটি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যাবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
ঢাকা থেকে তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, তুরাগ
কমিউটার, কর্ণফুলী কমিউটার ও নারায়ণগঞ্জ কমিউটার চলাচল করবে। এছাড়া
চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার ও নাজিরহাট কমিউটার;
ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ এবং ঝারিয়া রুটে দুইদিক থেকেই লোকাল ট্রেন চলাচল
করবে।
আর খুলনা-ঈশ্বরদী, রাজশাহী-রহনপুর, খুলনা-বেনাপোল,
বেনাপোল-মোংলা, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা এবং রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রুটে ১২টি লোকাল
ট্রেন চলাচল করবে। তবে আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন কবে থেকে চলবে সেই
সিদ্ধান্ত এখানও হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র
জানায়, তেলবাহী ট্রেন গত (২৫ জুলাই) শুক্রবার থেকেই চলাচল করছে। বুধবার
চলাচল করেছে মালবাহী কিছু ট্রেন। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি ট্রেনও এ দিন
চলাচল করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের তেলবাহী ট্রেনও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা
বলছেন, কারফিউ শিথিলের পাঁচ ঘণ্টায় বেশি দূরত্বের আন্তনগর ট্রেন চালানো
সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন
যেতেই পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ফলে কারফিউ শিথিরের সময়ের মধ্যে এই
ট্রেনগুলোর ফিরতি যাত্রা সম্ভব নয়। তবে শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে কিছু
আন্তনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।