সরবরাহ বাড়ায় এক
সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে দেশীয় ও আমদানি করা রসুনের
দাম কমেছে কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সরবরাহ এমন থাকলে সামনের দিনে দাম আরও
কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বুধবার (১০ জুলাই) সরেজমিন হিলি
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি দোকানেই দেশীয় ও আমদানি করা রসুনের
যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। দামও নি¤œমুখী। একসপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশীয় রসুন
২২০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা চায়না রসুন ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা
আগে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঈদুল আজহার আগে থেকেই রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম
নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। তবে ঈদের পরে এসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায়
ফিরছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কেজিতে। আগে ২২০
টাকার নিচে রসুন পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন সেটি কমে ১৮০ টাকায় এসেছে।
হিলি
বাজারের রসুন বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, দেশীয় রসুনের মৌসুম শেষ হওয়ায় দাম
খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। বর্তমানে নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয়
নতুন রসুন উঠতে শুরু করেছে। এতে করে বাজারে সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়তে শুরু
করেছে। এ ছাড়া দেশের বাজারে সরববাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা চায়না
থেকেও রসুন আমদানি শুরু করেছেন। ভালো চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় আগের তুলনায়
রসুন আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে মোকামে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ
বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর
দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, কেউ যেন অহেতুক কৃত্রিম সংকট
সৃষ্টি করে কোনও পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের দফতর পক্ষ থেকে
অভিযান চালানো হচ্ছে। এ সময় তাদের কেনাবেচার মেমোসহ কী দামে বিক্রি করছেন
সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে দাম বাড়তি নেওয়া বা সংকট
সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হচ্ছে।