মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া ।।
নতুন
শিক্ষাক্রমে বদলে যাওয়া নিয়মে পরীক্ষার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ষাণ্মাসিক
সামষ্টিক মূল্যায়ন। প্রথম দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে চারটি বিষয়ের
মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেশ উৎসবমুখর
পরিবেশে এতে অংশ নিতে দেখা যায়। এনসিটিবি প্রশ্নপত্র মোতাবেক ৫ ঘন্টাব্যাপী
মূল্যায়ন উৎসব শুরু হয়। ৫ ঘন্টা পরীক্ষার মাঝে ১ ঘন্টা বিরতি থাকবে।
বরুড়া
হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- উৎসবমুখর বিরাজ করলেও
ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক সবার মাঝে কৌতুহল লক্ষ করা গেছে। আগের প্রশ্নের মতো
নয় এবারের প্রশ্নপত্র। পারদর্শিতা সূচক অনুযায়ী এনসিটিবি কর্তৃক
প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। পরীক্ষার একদিন আগে প্রধান শিক্ষকের আইডিতে
প্রশ্ন পাঠিয়ে দেন এনসিটিবি। ফটোকপি করে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদেরকে এ প্রশ্ন
দেওয়া হয়। ২০ জন শিক্ষার্থী জন্য ১ জন করে শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন এবং
মূল্যায়ন করবেন। প্রতি শিক্ষার্থী প্রতি কাজের জন্য চেষ্টা-আংশিক-কার্যকর
এই হিসাবে মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন
কুমার সাহা বলেন, মূল্যায়ন উৎসবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৮ পাতার একটি খাতা
দেওয়া হবে। একই শিফটে সারাদেশে পরীক্ষা হবে। দুই শিফট করার সুযোগ নেই। ষষ্ঠ
শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এ মূল্যায়ন উৎসব। ১০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত
এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের শিখন, দক্ষতা ও
অ্যাকাডেমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা
নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অংশে ৬৫ শতাংশ এবং ব্যবহারিক অংশে ৩৫ এই মোট ১০০
নম্বারে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও
নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালে পঞ্চম শ্রেণি ও
দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই
প্রক্রিয়া চালু করা হবে। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নসহ
পরীক্ষা থাকবে।