মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪
৬ কার্তিক ১৪৩১
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইন পাস
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ১২:০১ এএম |




ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে পংকজ নাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং চৌকিদার দফাদারদের সম্মানি বাড়ানোর দাবি জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সম্মানিটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। এখন সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে মিলিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার টাকা আর সদস্যদের ভাতা ৫ হাজার টাকা। বর্তমান বাস্তবতায় এটি দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান আগে আইনে ছিল না। এটার সুবিধা যেমন আছে সরকারের স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, ইউপি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তারা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেন। তাদের সম্মানি খুবই অসম্মানজনক। এটা সম্মানজনক হওয়া উচিত।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এস এম ব্রহানী সুলতান বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি সাংঘর্ষিক।
বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এ টাকা কীভাবে তুলবে। তখন দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। এজন্য দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। নতুন ইউপি গঠনের পর এটা করতে হয়, এখানে আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক নয়। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। এই বিধান এ ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে।













সর্বশেষ সংবাদ
মা ইলিশ রক্ষায় মাঠে নামলেন মৎস্য উপদেষ্টা
ভেরেইনের শতকে বড় লিড দক্ষিণ আফ্রিকার
তিন লিগের জন্য কোটি টাকার স্পন্সর পেল বিসিবি
বুড়িচংয়ের আলোচিত আদনান হায়দারসহ গ্রেপ্তার ২
দেবিদ্বারেসেনাবাহিনীর অভিযানে আটক ৭
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ
সুমি জুয়েলার্সের ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
বুড়িচংয়ের আলোচিত আদনান হায়দারসহ গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্রসমাজই নির্ধারক, জাপা বিবেকহীন: সারজিস
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২