গতকাল
বুধবার সকালে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে কুমিল্লার সকল নদ-নদী ও লালমাই
পাহাড়ের সুরক্ষার আহ্বানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা শাখার
আয়োজনে বিশ^ পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। এই উপলেক্ষ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনাত
আনোয়ার উদ্দিন আহমেদ। মূখ্য আলোচক ছিলেন, বাপা সভাপতি ও কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড: মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মাঝে
বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লিয়াকত আলী, বাপা সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সহকারী অধ্যাপক মোঃ
জসিম উদ্দিন ও মোঃ শাহ আলম ভূইয়া।
সারাদেশে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ও
তা থেকে উত্তরণের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে প্রফেসর ডা: মোসলেহ উদ্দিন
আহমেদ বলেন, কুমিল্লাতেও সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ,
মাঠ দখল ও জলাধার ভরাট চলছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। ব্যক্তির উন্নয়ন ও
উন্নয়ন কাজের অজুহাতে ধংস করা হচ্ছে গাছপালা ও জলাধারগুলো। তিনি বলেন,
এবারের অতি তাপ প্রবাহের পর স্বীকার করতেই হবে সবুজায়ন ও জলাধারগুলো রক্ষা
করা ছাড়া পরবর্তী প্রজন্মকে অসহনীয় দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। কলেজ
অধ্যক্ষ হাসনাত আনোয়ার উদ্দিন আহমেদ শব্দ-বায়ু ও পলিথিন-প্লাস্টিকের
সর্বত্র মারাত্মকরকম দূষণে উদ্ধেগ জানিয়ে বলেন, কেবল স্বার্থপরতা আর অতি
বিলাসী জীবন যাপনের জন্যই দিন কি দিন পরিবেশের ক্ষতি কেবলই বাড়ছে। অন্যদিকে
অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুকেই দৈনন্দিন জীবনে অতিমাত্রায় সহজ ব্যবহার ও ভালো,
মন্দের বিবেচনা বোধ না থাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম পরিবেশের নানারকম ক্ষতির
মুখে পড়ছে। এমন দুঃসহ অবস্থায় সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি সকল নাগরিকদেরও
দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসা উচিত।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে নিজ
দায়িত্বে বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ লাগাবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন- এমন আগ্রাহী
২৫ জন কলেজ শিক্ষার্থীর হাতে ফলজ ও বনজ গাছের চারা তুলে দেন কলেজের
শিক্ষকগণ। পরে কলেজ প্রাঙ্গণে তিনটি গাছের চারা রোপন করেন বাপা সভাপতি,
কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ। এসঙ্গে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ
এখন থেকে প্রতিবছর কলেজে গুরুত্বের সঙ্গে পরিবেশ দিবস পালনের কথাও জানান।