আসামিকে
না পেয়ে তার স্ত্রীর দিকে পিস্তল তাক, মারধর ও নয় বছরের শিশু সন্তানকে চুল
ধরে টানাহেঁচড়া, বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত এবং গুলি ছোড়ার ঘটনায় উদ্বেগ
প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ১৩ জুনের
মধ্যে তদন্ত করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে
জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামে আসামি না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের
মারধর করার অভিযোগ উঠে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাতীয়
দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে
(সুয়োমোটো) অভিযোগ গ্রহণ করেছে। কমিশনের উপ-পরিচালক এম. রবিউল ইসলামের সই
করা সুয়োমোটোতে বলা হয়েছে- ‘আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে না পেয়ে পুলিশ
আসামির স্ত্রীর দিকে পিস্তল তাক, মারধর, ৯ বছরের শিশু সন্তানকে চুলে ধরে
টানাহেঁচড়া, বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত এবং দুটি গুলি ছোড়ার অভিযোগ অত্যন্ত
উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে
পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশের
বিশেষ শাখার মাধ্যমে তদন্ত করে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন
পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে
বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১০ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার থলিয়ারা
গ্রামে সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়ির
নারী ও শিশুদের মারধর করার অভিযোগ উঠে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের
বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে ডিবির এক কর্মকর্তা আসামির স্ত্রীর মাথায় পিস্তল
ঠেকান। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।