বেসরকারি
স্কুল-কলেজের সভাপতি হওয়ার মানদ- নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে একটি
প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এ
বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়। সংশোধন হতে যাওয়া প্রবিধানমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে
ন্যূনতম এইচএসসি পাস থাকতে হবে। একইসঙ্গে একই ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি
সভাপতি হতে পারবেন না।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের
চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সভাপতি হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত
যোগ্যতা এইচএসসি পাস এবং কেউ একাধারে দুইবারের বেশি সভাপতি হতে না পারার
বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। শিগগির এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বর্তমানে
স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটি পরিচালিত হচ্ছে ২০০৯ সালের প্রবিধানমালা
অনুযায়ী। এ বিধিমালায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত
যোগ্যতার কথা উল্লেখ নেই। এজন্য প্রবিধানমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালেও প্রবিধানমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর
কারণে সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বিদ্যমান প্রবিধানমালা অনুযায়ী,
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি হয় ১১-১৪ সদস্যের। এর
মধ্যে একজন সভাপতি থাকেন। শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছাড়াও সভাপতি হওয়া যায়।
উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কমিটিও একই রকমের। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
পরিচালনা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়ে থাকে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
বেসরকারি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। তবে অধ্যক্ষ,
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের পুরো ক্ষমতা
কমিটির হাতে। বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা ইত্যাদি
পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে।
উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ
বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল,
অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ প্রতিষ্ঠানের
অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।